Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


নিয়মিত দুধ পানে কমে হাড় ও কোমরের ৯০ ভাগ ব্যথা

Main Image

নিয়মিত দুধ পানে শতকরা ৯০ ভাগ পর্যন্ত হাড় ও কোমরের ব্যথা কমে।


সুষম খাবার দুধকে বলা হয় প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ খাবার। দুধে থাকা ল্যাকটোজ মানুষের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকোষ বর্ধনে সহায়তা করে। দৈহিক গঠন, মজবুত হাড় গঠন ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে দুধ। নিয়মিত দুধ পানে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ পর্যন্ত হাড় ও কোমরের ব্যথা কমে।

বুধবার (১ জুন) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন দিবসটি উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম।

বাকৃবির পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী, অধ্যাপক (অব) ড. এম এ সামাদ খান, অধ্যাপক ড. রায়হান হাবিব ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুম।

ড. আশিকুল ইসলাম বলেন, জন্মের পর থেকে ৫-৭ বছরের মধ্যে শিশুর মস্তিষ্কের ৯০ ভাগ বর্ধিত হয় বলে এ সময়ে দুধের প্রয়োজনীতা সবচেয়ে বেশি। যে জাতি যত বেশি দুধ পান করে, সে জাতি তত বেশি মেধাবী হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন দুধ উৎপাদিত হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে মাথাপিছু দৈনিক দুধের গড় প্রাপ্যতা ২০৮ দশমিক ৭০ মি.লি.। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে মাথাপিছু দুধের প্রাপ্যতা ৪২৭ মি.লি. এবং পাকিস্তানে ৫১৫ মি.লি.। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২৫০ মি. লি. দুধ প্রয়োজন। সে হিসাবে দেশে বার্ষিক ১৫ দশমিক ৭০ মিলিয়ন টন দুধ প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হবে। এ বছর বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘পুষ্টি ও জীবিকার উৎস হিসেবে পরিবেশবান্ধব ডেইরি।’

আরও পড়ুন