Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


চিড়া নাকি ভাত, কোনটা বেশি উপকারী?

Main Image

চিড়া আয়রন এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ


সকালের নাশতায় অনেকেই চিড়া খেতে পছন্দ করেন। আবার কেউ ভাত। এর মধ্যে চিড়া কেবল সহজ এবং দ্রুত তৈরি করা যায় তাই নয়, খাবার হিসেবে এটি বেশ হালকা। চিড়া আয়রন এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। এতে কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে। অন্যদিকে ভাতে থাকা কার্বোহাইড্রেটের কারণে শরীরে ইনসুলিনের ওঠানামা যুক্ত। এছাড়া অতিরিক্ত ভাত খেলে অলসতা এবং অস্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ে।

সকালের নাশতায় চিড়া কেন ভাতের চেয়ে ভালো তা জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হেলথসটস’এ।  সেখানে ভারতীয় পুষ্টিবিদ অবনী কৌল সকালের নাশতায় ভাতের পরিবর্তে চিড়া খাওয়ার নানা কারণ জানিয়েছেন।

কার্বোহাইড্রেটে পূর্ণ:

চিড়ায় ৭০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট এবং ৩০ শতাংশ চর্বি থাকে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর খাবার খুঁজলে চিড়া খেতে পারেন। এই খাবার শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। ভাতও কার্বোহাইডেটে পূর্ণ। কিন্তু ভাত খেলে শরীর ভারী লাগে, ঘুম পায়। এতে একজন ব্যক্তির উৎপাদনশীলতার স্তরকে প্রভাবিত করে।

আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস:

রোদে শুকিয়ে যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চিড়া তৈরি করা হয় তাতে এতে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকে। এ কারণে গর্ভবতী নারীদের গর্ভকালীন রক্ত স্বল্পতা হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে চিড়া খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।  চিঁড়াতে একটু লেবুর রস যোগ করলে আয়রন শোষণ করা সহজ হবে।

হজম করা সহজ:

চিড়া পেটের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। এটা হজম করতে সমস্যা হয় না। এতে ক্যালরিও কম, তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তারা চিড়া খেতে পারেন। কাঁচা চিড়ায় চর্বি ও চিনি নেই। সবজি যোগ করে ভাজার পরও এর পুষ্টিগুণের কোনও পরিবর্তন হয় না। তবে তৈরি করার সময় অবশ্যই সঠিক তেল ব্যবহার করতে হবে।

ফাইবার সমৃদ্ধ:

চিড়া ফাইবার সমৃদ্ধ। ১০০ গ্রাম চিড়াতে ২ থেকে ৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। একই পরিমাণ চিড়ায় প্রায় ৭০ গ্রাম স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটা চালের মত পালিশ করা হয় না। চিড়া খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ:

ফার্মেন্টশন প্রক্রিয়ায় তৈরি চিড়ায় কিছু প্রোবায়োটিক গুণও রয়েছে। চিড়ায় প্রোটিনের বিপাকের ফলে ভালো ব্যাকটেরিয়া ধরে রাখে। যার ফলে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ভাতে এ ধরনের সুবিধা নেই।

আরও পড়ুন