Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


চট্টগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ, কারণ জানতে ৩ সদস্যের কমিটি

Main Image

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস


চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলায় সম্প্রতি ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেক বেড়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্তের কারণ জেনে  প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।  

বৃহস্পতিবার (৪ মে) চট্টগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুজন বড়ুয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি (সভাপতি), সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি (সদস্য সচিব) ও সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা (সদস্য)। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা সরেজমিনে পরিদর্শন করে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জনের আদেশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধিতে জনস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে বিষয়টি অতি গুরুত্বসহকারে বিবেচনার জন্য সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হচ্ছে- সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ঔষধ চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ রাখতে হবে। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের চিকিৎসায় জাতীয় গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। গাইডলাইন অনুযায়ী কলেরা সনাক্তকরণ কিট ব্যবহার করতে হবে। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের চিকিৎসার তথ্য ডিআইএইচএস-২ এর মাধ্যমে রিপোর্ট করতে হবে। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রার্দুভাব বৃদ্ধি পেলে সিভিল সার্জন অফিস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবহিত করতে হবে। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে হবে। দৈনন্দিন ডায়রিয়া রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো  নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি ইউনিয়নে ১টি ও প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে মেডিকেল টিম পুনঃগঠন করে প্রস্তুত রাখতে হবে। এজন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জেলা কন্ট্রোল রুম (ফোন নাম্বারে ০২৩৩৩৩৫৪৮৪৩) খোলা থাকবে। ডায়রিয়া বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ ও স্যানিটারী পরিদর্শকদের ফোকাল পারসন মনোনীত করে সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিতে হবে। 

এছাড়া ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে মসজিদ ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালাতে নির্দেশনা দেন জেলা সিভিল সার্জন।

চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৬৪ জন নারী-পুরুষ-শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন এবং ২৪০ জন সুস্থ হয়ে ২৪০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এরমধ্যে বোয়ালখালীতে আক্রান্ত ৫০ জন, চন্দনাইশে ৩৩ জন, পটিয়ায় ৩২ জন ও আনোয়ারায় ২৯ জন রয়েছেন।

আরও পড়ুন