Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, যথাসম্ভব ঘরে থাকার নির্দেশনা

Main Image

অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা


তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। গত কয়েক দিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪ সালে ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রিতে।

এদিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় উঠেছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রাও গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আশঙ্কা, তাপমাত্রা যে হারে বাড়ছে তা কয়েক দিন অব্যাহত থাকলে, অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু, ৩৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি এবং ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে বলা হয় তীব্র দাবদাহ। এ হিসাবে দেশের ১১ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র দাবদাহ। ১৮ অঞ্চলে বইছে মাঝারি থেকে তীব্রের কাছাকাছি এবং সবচেয়ে কম দাবদাহের এলাকায়ও বইছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। রংপুরের ডিমলা ও রাজার হাটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার অধিদপ্তর বলছে, এবারের গরমে ভিন্নমাত্রা রয়েছে। বাতাসের আদ্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তাই তাপাদাহের মধ্যে ঠোট শুকিয়ে ও ফেটে যাচ্ছে। বাতাসের জ্বলীয়বাষ্প কম থাকায় মূলত এমন হচ্ছে। সকালে সুর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র রোদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুনঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলা হচ্ছে। লেবুর শরবত ও সেলাইন খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন