Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


জাপানিজ এনকেফালাইটিসের ঝুঁকিতে রাজশাহী

Main Image

জাপানিজ এনকেফালাইটিস ভাইরাস সংক্রমণ


দেশে গত ৫ বছরে ১২ হাজার ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষায় জাপানিজ এনকেফালাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৮ জন। আর ৪ বছরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৭৯ জনের। কিউলেক্স মশার কামড়ে ছড়ানো এই রোগের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রাজশাহী জেলা। ইতোমধ্যে জেলাটিকে রেড জোন তালিকাভুক্ত করে কাজ শুরু করেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও বেসরকারি সংস্থা পাথ এর সার্বিক সহযোগিতায় সোমবার রাজশাহীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। 

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এ পর্যন্ত দেশের ৩৬ জেলায় কিউলেক্স মশার কামড়ে ছড়ানো জাপানিজ এনকেফালাইটিস ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত বছর সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয় রাজশাহী বিভাগে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায়। বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে মে থেকে ডিসেম্বর মাসে। এ সময়ে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা। গ্রামাঞ্চলে মশার বংশ বৃদ্ধি হওয়া এলাকায় ভাইরাসটির বেশি সংক্রমণ হয়ে থাকে।

কর্মশালায় গবেষকরা জানান, গত ১০ বছরের পরিসংখ্যানে রংপুর বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ জাপানিজ এনকেফালাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাজশাহী বিভাগে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ। সবচেয়ে কম আক্রান্ত বিভাগ বরিশাল ও সিলেট বিভাগ। এ দুই বিভাগে আক্রান্ত হন মাত্র এক শতাংশ রোগী। এ পরিসংখ্যানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ ও ৯ শতাংশ রোগী আক্রান্ত হন।

ইপিআই শিডিউলের আওতায় এ ভাইরাসের টিকা অন্তর্ভুক্তির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন চিকিৎসকরা।

তারা জানান, ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ভাইরাসের টিকা অনুমোদন দিয়েছে। সামনে বছর বাংলাদেশে সেই টিকা আসবে এবং প্রাথমিকভাবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের চারটি জেলায় জাপানিজ এনকেফালাইটিস ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সব ধরনের সংকট মোকাবেলার আহবান জানান চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন