Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সাফল্য অন্য দেশেরও কাজে লাগবে’

Main Image

থাইল্যান্ডের পাতায়ায় পিপিডি আয়োজিত বাংলাদেশসহ ২৭টি দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধি পর্যায়ের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক ১৯তম আন্তর্জাতিক আন্তঃসরকার পর্যায়ের বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক


করোনা মোকাবেলাসহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সাফল্য অন্য দেশেরও কাজে লাগবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (১৪ নভেম্বর) থাইল্যান্ডের পাতায়ায় পার্টনার্স ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) আয়োজিত বাংলাদেশসহ ২৭টি দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধি পর্যায়ের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক ১৯তম আন্তর্জাতিক আন্তঃসরকার পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

তাঁর মতে, আমাদের সফলতা অন্যদেরও যেমন কাজে লাগবে, তেমনি অন্য দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নমূলক কাজগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবাতেও কাজে লাগবে। এভাবে একটি দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন থেকে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে সবাইকে একযোগে এক হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশের মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, করোনা পরিস্থিতি, বিনামূল্যে হাসপাতাল সেবা কার্যক্রমসহ স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সরকারের নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি  বলেন, বাংলাদেশ ২০২২ সালে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। শিশুমৃত্যুর হার প্রতি ১ হাজারে এখন ১৫ জনে নেমে এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৬৪ ভাগ নারী (১৫-৪৯ বছর বয়সী) গর্ভনিরোধ পদ্ধতিসেবা সরকারিভাবে বিনামূল্যে পাচ্ছেন। মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে এখন ১৬৩ জন হয়েছে। শিশুদের সময় মতো ভ্যাকসিন প্রদান করে বাংলাদেশ বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে গঠনমূলক কাজ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বৈশ্বিক নানান পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্যাভি কর্তৃক ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার পেয়েছেন। স্বাস্থ্য প্রজনন সেবার উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে জাতিসংঘের এমডিজি পুরস্কার, ২০১১ সালে ডিজিটাল হেলথ ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট নামে সাউথ-সাউথ পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার লাভ করেছেন। এছাড়াও করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। 

সভায় জিম্বাবুয়ের উপ-রাষ্ট্রপতি এইচ ই ডা. সি চিওয়েংগা (H.E Dr. C. Chiwenga), ভারতের মিনিস্ট্রি অব হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার’র ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ ডিভিশনের অ্যাডভাইজার এইচ ই ডা. এস কে সিকদারসহ ২৭টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

২৭টি দেশের আন্তর্জাতিক সংগঠন পিপিডি’র প্রধান কার্যালয়টি বর্তমানে বাংলাদেশের রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থায়ীভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন