Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


শহীদ মিনারে হামলার শিকার ঢাকা মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসক

Main Image

আঘাতে তার কানের পর্দা ছিড়ে গেছে


কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসাইন। সোমবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার হওয়া সাজ্জাদ হোসাইন ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৭৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

তিনি জানান, আঘাতে তার কানের পর্দা ছিড়ে গেছে। কানে কম শুনতে পাচ্ছেন। দাঁতের মাড়ি কেটে গেছে। ডান চোখে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। নাকের সেপ্টাম ইঞ্জুর্ড হয়েছে।

হামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে ডা. সাজ্জাদ বলেন, সোমবার রাত ৯টার দিকে শহীদ মিনারে যান তিনি। সে সময় মূল বেদির পাশে মাটির ওপরের রেলিংয়ে বসে ছিলেন তিনি। তখন কয়েকজন ছেলে এসে তার পরিচয় জানতে চায়। ঢাকা মেডিকেলের বলার পরও তারা ডা. সাজ্জাদের পড়াশোনার বর্ষ জানতে চায়।

এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিচয় দিলে তারা তার আইডি কার্ড দেখতে চায়। আইডি কার্ড দেখাতে না পারায় চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘তাদের সাথে তো ঢাবির আইডি কার্ড আছে।’

এ সময় ডা. সাজ্জাদ ক্যাম্পাসের পাশেই এসেছেন উল্লেখ করে সবাই আইডি কার্ড সাথে নিয়ে ঘুরে কিনা, জানতে চান?

সঙ্গে সঙ্গে তাকে মারধর শুরু করে সন্ত্রাসীরা। তিনি অবাক হয়ে জানতে চান, তার দোষ কী? এর পর তাকে দ্বিতীয় দফায় মারতে শুরু করে তারা।

অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে নিজেরা একটি রিকশা ডেকে ডা. সাজ্জাদকে ‍এতে উঠিয়ে দিয়ে চালককে বলে, ‘ও যেখানে নামতে চায়, নামিয়ে দিস।’

রিক্সা নিয়ে ববশিবাজার সিগনালের গেইটে গেলে রুমমেট এসে তাকে ইমার্জেন্সিতে নেয়। পুলিশ কেইস সিলসহ ইঞ্জুরি নোট লিখেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে তাকে নাক-কান-গলা বিভাগে রেফার করা হয়। চিকিৎসকরা জানালেন, তার নাকের সেপ্টাম ইঞ্জুর্ড হয়েছে। কানের পর্দায় ব্লিডিং স্পট আছে, তবে হিয়ারিং লস আছে কিনা, তা বুঝতে বুধবার (১০ আগস্ট) অডিওগ্রাম করতে হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির কাছ থেকে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। তার চাওয়ার ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

তিনি আরও বলেন, যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে আমরা তাদের খোঁজ নিচ্ছি। নিগ্রহের ঘটনা ঘটে থাকলে আমরা দেখবো এবং যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেগুলো করবো।

আরও পড়ুন