অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, ওধুধের নির্ধারিত ডোজ পূর্ণ না করাসহ নানা কারণে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার নতুন ধরন দেখা দিচ্ছে
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, ওধুধের নির্ধারিত ডোজ পূর্ণ না করা, শুরুতেই শনাক্ত না হওয়াসহ নানা কারণে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার নতুন ধরন দেখা দিচ্ছে। যক্ষ্মার চিকিৎসায় নিয়মীত যেসব ওষুধ ব্যাবহার করা হয় সেগুলো অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই কার্যকর হয় না। যক্ষ্মার এসব ধরন ওষুধের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকায় এগুলো আরও ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৯০ শতাংশ যক্ষ্মা নির্মুলের পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে শ্যামলীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যক্ষ্মা হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতায় ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়। সেখানে যক্ষার সকল ধরন শনাক্ত ও চিকিৎসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া একই সেন্টারে মাল্টি ড্রাগ র্যাজিসট্যান্স যক্ষার ওপর কালচারের মাধ্যমে কার্যকর ওষুধের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছিলো।
শ্যামলীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে গত বছর আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ২২ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাসপাতালটির সহকারি পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার।
তিনি বলেন, যক্ষ্মা রোগীকের আনেক সময় ছয় থেকে নয় মাস পর্যন্ত চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয়। এসময় কোনো এক দিন যদি ওষুধ খাওয়াব ছেড়ে দেয় তাহলে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার ডেভলপ করার ঝুঁকি তৈরি হয়।
এসডিজি লক্ষ্যমাত্র অনুযায়ী ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের ৯৫ শতাংশ যক্ষা নির্মুলের পরিকল্পনা সরকারের। তবে যক্ষা নির্মূলে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে দ্রুত শনাক্ত করা। এজন্য প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে যক্ষ্মা সনাক্ত কেন্দ্র স্থাপন ও চিকিৎসার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
যক্ষ্মা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ২৪ মার্চ সারা বিশ্বে পালিত হয় বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে বিশ্বনেতারা বেশকিছু বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অন্যান্য বছরের মতো আজ বৃবস্পাতিবার (২৪ মার্চ) জাতীয়ভাবে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালন করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানী ঢাকায় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একই ধরনের কর্মসূচির পালন করা হয়।
আরও পড়ুন