Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


‘আক্রান্তদের ২০ শতাংশই ওমিক্রন’

Main Image

করোনার চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক করোনার সাথে এর সম্পর্ক বের করার জন্য এ গবেষণা করা হয়


দেশে করোনায় এখন আক্রান্তদের ২০ শতাংশই অতি সংক্রামক ওমিক্রনে এবং বাকি ৮০ শতাংশ ডেল্টা বা অন্যান্য ধরনে সংক্রমিত বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে করোনার জিনোম সিকুয়েন্সিংসংক্রান্ত এক গবেষণার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি। করোনার জেনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের জেনোমের সাথে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা ও বাংলাদেশি করোনার জেনোম ডাটাবেজের জন্য এ গবেষণা করা হয়।

উপাচার্য জানান, ৮ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত সংগৃহীত স্যাম্পলের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ও ৮০ শতাংশ ডেল্টা ধরন পাওয়া যায়। পরবর্তী মাসে ওমিক্রন ধরন গুণিতক হারে বৃদ্ধির আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমান গবেষণা গত বছরের ২৯ জুন থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশের করোনা রোগীদের ওপর পরিচালিত হয়। দেশের সব বিভাগের রিপ্রেজেন্টটিভ নিয়ে স্যাম্পলিং করা হয়েছে। গবেষণায় ৯ মাসের শিশু থেকে ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা সব ধরনের রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এতে মোট ৭৬৯ করোনা রোগীর ন্যাযোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের ক্যান্সার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের শতভাগই ডেল্টা ধরনে সংক্রমিত।

গবেষণা কার্যক্রম প্রকল্পের সুপারভাইজার হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত ফলাফল চলতি মাসেই সবাইকে জানানো হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার প্রধান গবেষক ডা. লায়লা আনজুমান বানুসহ গবেষক দলের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন