Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫


টিকাবৈষম্য দূরে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

Main Image

জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


করোনামুক্ত করে বিপর্যস্ত বিশ্বকে বাঁচাতে সার্বজনীন ও সাশ্রয়ীমূল্যে টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে জরুরি ভিত্তিতে টিকাবৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সতর্ক করে তিনি বলেছেন, টিকা-বিভাজনের বর্তমান প্রবণতা শুধুমাত্র মহামারীকেই দীর্ঘস্থায়ী করবে।

শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বাংলায় দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত বছরের অধিবেশনে আমি করোনার টিকাকে ‘বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। বিশ্বনেতাদের অনেকে তখন এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেছিলেন। সে আবেদনে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

শেখ হাসিনা ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকা বৈষম্য বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ যাবৎ উৎপাদিত টিকার ৮৪ শতাংশ উচ্চ ও উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মানুষের কাছে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, নিম্ন আয়ের দেশগুলো ১ শতাংশেরও কম টিকা পেয়েছে।’

বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষকে টিকা থেকে দূরে রেখে কখনই টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। আমরা কেউই পুরোপুরি নিরাপদ থাকতে পারব না। তাই সবার জন্য ন্যায়সংগত ও সাশ্রয়ীমূল্যে টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

টিকার প্রযুক্তি হস্তান্তর সমতা নিশ্চিতের একটি উপায় হতে পারে। প্রযুক্তি সহায়তা ও মেধাস্বত্বে ছাড় পেলে বাংলাদেশ ব্যাপক পরিমাণে টিকা উৎপাদনে যেতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায় থেকে আমাদের শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া মহামারী মোকাবিলায় আমাদের সময়োচিত, সমন্বিত ও বহুমুখী উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।’

এ সময় করোনার টিকা সংগ্রহের জন্য চলতি অর্থবছরে বাজেটে ১৬১ কোটি ডলারের সংস্থান রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন