Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫


হিমোফিলিয়া রোগ নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

Main Image


রক্তের আরেকটি বংশানুক্রমিক জিনগত অনিরাময়যোগ্য রোগের নাম হিমোফিলিয়া। এ রোগ হলে রক্ত জমাট বাঁধতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। শরীরে কোথাও কেটে গেলে সহজে রক্তপাত বন্ধ হয় না। কারণ, রক্ত জমাট বাধার উপাদান রক্তে কম থাকে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি ১০ হাজার জনে একজন হিমোফিলিয়ায় রোগে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে কতজন হিমোফিলিয়া রোগী আছে তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও প্রায় ১০ হাজার হিমোফিলিয়া রোগী রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আর রোগটি সাধারণত পুরুষদেরই দেখা যায়।

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে সায়েন্টেফিক পেপার উপস্থাপনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দিন শাহ এসব তথ্য জানান।

ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব হিমোফিলিয়া অ্যান্ড রোটারি ক্লাব আয়োজিত শুক্রবার অনলাইনে সেমিনারে এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও বলেন, রক্তে ফ্যাক্টর-৮ এর ঘাটতির কারণে হিমোফিলিয়া-এ এবং ফ্যাক্টর-৯ এর অভাবে হিমোফেলিয়া-বি’তে আক্রান্ত হয়। হিমোফেলিয়া হলে রোগীর রক্তপাত বেড়ে যায়। মহিলাদের মাসিকে দীর্ঘদিন ধরে রক্ত ঝরা, সময়ে সময়ে নাক বা দাঁত দিয়ে রক্ত বের হওয়া, দাঁতের অপারেশনের পর প্রচুর রক্তপাত হওয়া এবং প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া হিমোফিলিয়া রোগের লক্ষণ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব হিমোফিলিয়ার সহ-সভাপতি ডাক্তার জিনাত আরা। আরও ছিলেন এশিয়ান প্যাসিফিক আইসল্যান্ডার ক্যানসাস ডেমক্রেটিক পার্টি, ইউএসএ-এর চেয়ারম্যান রোটারিয়ান রেহান রেজা।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ ওয়াব বলেন, হিমোফিলিয়া রোগের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। এসব রোগীকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসার দেয়ার কাজ করে যাচ্ছে ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব হিমোফিলিয়া।তিনি ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগের পাশে থাকার জন্য সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন।

রেহান রেজা বলেন, সঠিক সময় সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারলে হিমোফিলিয়া সুস্থ করে তোলার সম্ভব। হিমোফিলিয়া রোগীদের সহায়তার জন্য একটি কল্যাণ তহবিল করার আহ্বান জানান।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিসট্রিক ৩২৮১, বাংলাদেশের গভর্নর নমিনী ইঞ্জিনিয়ার এম এ ওয়াব। বিশেষ অতিথি ছিলেন রোটারি ইন্টারন্যাল ডিসট্রিক ৩২৮১, বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী গভর্নর রোটারিয়ান এম খায়রুল আলম, খুলনা মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লিয়াকত হোসেন তপন, রোটারি ক্লাব অব তুরাগ উত্তরার প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মো. মতিউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা. মো. শাফিউর রহমান।

আরও পড়ুন