বয়স্কদের ওজন কমানোর ৫ পদ্ধতি
অতিরিক্ত ওজন সব বয়সী মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যই হুমকির কারণ।
যে কোনো বয়সী মানুষের লক্ষ্য থাকে একটি স্বাস্থ্যকর ওজন মেনে চলা। অতিরিক্ত ওজন সব বয়সী মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যই হুমকির কারণ হতে পারে। কোলেস্টেরল, হৃদ্রোগ এবং কিডনির সমস্যার পাশাপাশি হাঁটু ও কোমর ব্যথার প্রবণতা তৈরি হতে পারে বাড়তি ওজনের জন্য।
যাদের বয়স ২০, ৩০, ৪০ এর ঘরে তাঁরা যত সহজে ওজন ঝরিয়ে ফেলতে পারেন, ৬০-এর পর সেটা যথেষ্ট মুশকিল হয়ে যায়। কারণ খুব বেশি মাত্রায় পরিশ্রম করে ওজন ঝরিয়ে ফেলা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই বয়স ৬০ পেরিয়ে গেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি।
৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা অতিরিক্ত ওজন থেকে মুক্তি পেতে এই পাঁচটি পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন।
১) হাঁটা
একটা বয়সের পর হঠাৎ দৌড়ালে হাড়ের সংযোগস্থলে চাপ পড়তে পারে। তাতে চোট বা দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই বয়স্কদের জন্য সবচেয়ে ভাল কার্ডিয়ো ব্যায়াম। প্রত্যেক দিন আধ ঘণ্টা হাঁটলেই অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
২) পিলাটেস
কোনও চোট পেলে, তা সারিয়ে তোলার সবচেয়ে ভাল উপায় পিলাটেস। বয়স্কদের হাড় সুস্থ রাখতে, হাঁটাচলার ধরন ঠিক রাখতে, শরীর নমনীয় করতে পিলাটেসের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত পিলাটেস করলে শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ে এবং ঘাড়ে-পিঠে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যাও কমে। যন্ত্রপাতির আধিক্য নয়, কেবল স্ট্রেচিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয় এই বিশেষ পদ্ধতিতে।
৩) বডিওয়েট ওয়ার্কআউট
খুব ভারী ওজন তোলার ক্ষমতা একটা বয়সের পর কমে যেতেই পারে। কিন্তু বডিওয়েট ওয়ার্কআউট নিশ্চিন্তে করা যায়। প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে স্কোয়্যাট, লাঞ্জেস বা ক্রাঞ্চেস করতে পারেন নিয়মিত।
৪) ডায়েটে নজর
বয়স্কদের ডায়েটের উপর বাড়তি নজর দিতে হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে বেশি রাখতে হবে। চিনি ও ফ্যাটজাতীয় খাবার ডায়েটে যত কম রাখবেন, ততই ভাল।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম
ওজন ঝরাতে দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ঘুম পর্যাপ্ত হলে তবেই বিপাকক্রিয়া বাড়বে আর তাতেই ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
বয়স্কদের ওজন ওজন ধীরে ধীরে কমানোই শ্রেয়। অনেক সময়ে নানা রকম চেষ্টা করেও ওজন ঝরানো সম্ভব হয় না, সে ক্ষেত্রে হতাশ হলে চলবে না, লেগে থাকতে হবে।