দাঁত ও মাড়ির সুস্থতায় করণীয়

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-05-11 13:08:13
দাঁত ও মাড়ির সুস্থতায় করণীয়

দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন সি এইসব খাবার।

প্রচলিত আছে দাঁত থাকতে কেউ দাঁতের মর্ম বোঝে না। দাঁত যে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের একটি তাতে কেউ দ্বিমত করবেন না। আমাদের দেহ ও স্বাস্থ্যের জন্য দাঁত কতোটা উপকারী তা দাঁত হারাতে শুরু করলেই বুঝতে পারি আমরা।

খাদ্য গ্রহণ কিংবা শারীরিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে দাঁতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও অনেকেই দাঁতের সমস্যায় ভোগেন। টুথব্রাশ, টুথপেস্ট কিংবা মাউথওয়াশ পাল্টেও মুক্তি পাচ্ছেন না। দাঁতের যত্নে ছোটো বড় সকলেরই তাই গড়ে তোলা উচিত কিছু ভালো অভ্যাস।

>> খাওয়ার পর ছোট ছোট অংশ থেকে যায় দাঁতের খাঁজে। তাই প্রতিবার খাওয়ার পর না হলেও সারা দিনে অন্তত দু’বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

>> যেসব জায়গা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব নয় সেসব জায়গায় ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন। সরু সুতোর সাহায্যে দুটি দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার বের করে নেয়ার পদ্ধতিতেই বলা হয় ফ্লসিং।

>> গার্গল করা। শুধু সর্দি বা কাশির জন্য নয়, মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও গার্গল করা প্রয়োজন। কেননা মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে অম্লভাব কাটাতে হবে। কারণ এই থেকেই দাঁতের ক্ষতি হয় বেশি।

>> পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, চকলেট-লজেন্স, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়ার পর দাঁত ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।

>> দু-তিন মাস পর পর টুথপেস্টের ব্র্যান্ড বদল করে নেয়া ভালো। ফ্লোরাইড যুক্ত যে কোনো টুথপেস্ট দাঁতের জন্য বেশ উপকারী।

>> কয়লা, গুল, টুথ পাউডার, ছাই, মাটি, গাছের ডাল ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে দাঁত ও দাঁতের মাড়ির সুরক্ষা হয় না মোটেই।

>> ধূমপান, তামাক পাতা ও পান-সুপারি এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে মুখ ও দাঁতের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

>> মুখ খুলে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করুন, কারণ হাঁ করে ঘুমানোর ফলে মুখ ও দাঁতের রোগ বেড়ে যায়।

>> ঘুমানোর আগে বিস্কুট, কেক, চকলেট-লজেন্স খাবেন না কারণ এগুলো খুব সহজে দাঁতে আটকে থাকে এবং সারারাত থাকলে দাঁতের ক্ষতিসাধন করে।

 >> ভিটামিন সি, আঁশযুক্ত ও শক্ত খাবার যেমন-গাজর, পেঁয়ারা, আমড়া, ইক্ষু, আনারস, নাশপাতি, আপেল, নারকেল ইত্যাদি দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় খাদ্যতালিকায় রাখুন এইসব খাবার।


আরও দেখুন: