প্রতিটি অক্ষর থেকে যন্ত্রণা ও চরম ক্লান্তি ঠিকরে বের হচ্ছে
ডা. মারুফ রায়হান খান ও ইন্টার্ন ডেস্কে পাওয়া চিরকুট
গতকাল নাইট শিফটে ডিউটি করার সময় ইন্টার্ন ডেস্কে এই লেখাগুলো দেখলাম। কে লিখেছে জানি না। তবে প্রতিটি অক্ষর থেকে যে দীর্ঘ নিঃশ্বাস, যন্ত্রণা, অবসাদ ও চরম ক্লান্তি ঠিকরে বের হচ্ছে তা অনুভব করা যাচ্ছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকগণ কী অস্বাভাবিক রকম পরিশ্রম করেন ও এফোর্ট দেন তা অবিশ্বাস্য ও বিস্ময়কর। তাদের ছুটির দিন বলতে মূলত কিছু নেই। প্রতিটি মানুষের কাজ করার পরিশ্রম করার একটা সর্বোচ্চসীমা আছে। এ সীমা অতিক্রম করে গেলে তার দেহমন অবসাদে পরিপূর্ণ হয়। অথচ রোগীদের এতো সেবা দেওয়ার পরেও তারা কৃতজ্ঞতা খুব কমই পায়, বরং পায় বিস্তর অভিযোগ, অসন্তোষ আর মারমুখী আচরণ।
অন্যদিকে এতো এফোর্ট দেওয়ার পরেও তাদের যে মাসিক ভাতা তা অত্যন্ত কম। জনসমক্ষে কতো ভাতা পায় এটা বলতে অনেকেই বিব্রতবোধ করে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া উচিত। তারা মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার বড়ো ক্ষতি সাধিত হবে।
(লেখাটি সম্ভবত বাম হাতে লেখা হয়েছে।)