Copyright Doctor TV - All right reserved
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় দ্রুত সংক্রামক রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি, ব্রংকাইটিস, হেপাটাইটিস এবং বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা। তাদের বেশিরভাগই শিশু। গাজায় দ্রুত স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি না হলে গোটা অঞ্চলে মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর আল জাজিরার।
বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাসচিব তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। তিনি বলেন, আসন্ন মহামারিগুলো কোভিড-১৯ এর চেয়েও ‘মারাত্মক’ হতে পারে।
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ আবারও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী আরও ১৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৯ হাজার ৩১৭ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনায় আরও ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৭ হাজার
ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বুধবার রাজধানীতে ‘মেয়র সংলাপ : নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জসমুহ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী একথা বলেন।
মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডেউয়ে লাফিয়ে বাড়েছে সংক্রমণ। মৃত্যু এবং সংক্রমণ ছাড়িয়ে যাচ্ছে পূর্বের সকল রেকর্ড।
যুক্তরাষ্ট্রে বাস করার জন্য এ সময়টা বেশ আতঙ্কের। কভিড-১৯ একটি নতুন রোগ যা কিনা বেশ নির্মম, এমনকি আমাদের অনেকে এ রোগ থেকে সেরে ওঠার পরও আগের অবস্থায় ফিরতে পারছে না। এই মহামারী একটি দেশ তার নাগরিকদের কী প্রতিশ্রুতি দেয় এবং সেগুলোর কতটা বাস্তবায়ন করে তার পার্থক্য সামনে নিয়ে এসেছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে এই প্রাদুর্ভাব ভোটিং প্রক্রিয়াকে নিশ্চিতভাবে জটিল করে তুলবে সম্ভাব্য বিপর্যয়কর ফলাফলসহ। বসন্তে স্বল্প সময়ের জন্য মনে হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছে। বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নিউইয়র্কও সফলভাবে সংক্রমণকে টেনে ধরতে পেরেছিল। এটা সম্ভব হয়েছিল কম প্রয়োজনীয় ব্যবসাগুলোকে রাজ্যজুড়ে বন্ধ রাখতে পারা এবং মাস্ক পরা ও সামাজিক দূূরত্ব বজায় রাখার যে নিয়ম তা রাজ্যে আরোপ করার কারণে। কিন্তু যখন সম্প্রতি অন্যান্য স্টেট খুলে দেয়া হয় তখন নতুন হটস্পট তৈরি হয়। এর মাঝে পশ্চিম উপকূলের ক্যালিফোর্নিয়ায় ১০ আগস্ট দৈনিক রেকর্ড গড়ে কেস শনাক্ত হয়। ৭ আগস্ট একই অবস্থা দেখা যায় পূর্ব উপকূলের ভার্জিনিয়ায়। দেশজুড়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ভীতিকরভাবে ওপরে ওঠে এবং মৃত্যুসংখ্যাও বাড়তে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিতভাবে কভিড-১৯-এর লড়াই হারতে যাচ্ছে, কিন্তু এটা এভাবে হওয়ার দরকার ছিল না। জি-৭-এর দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি ও ইতালি কেবল আমাদের ক্ষেত্রেই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। অন্যান্য দেশ যেমন নিউজিল্যান্ড পুরোপুরিভাবে কভিড-১৯ নির্মূলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। হতাশাজনক ব্যাপার হচ্ছে, কয়েক মাস আগেও যুক্তরাষ্ট্রকে সেসব দেশের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল, যারা মহামারীর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ভালোভাবে প্রস্তুত। এ অবস্থায় আমরা আরো ভালোভাবে দেখতে পারি কেন দেশটি বাজেভাবে ডুবতে বসেছে। প্রতিটি পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা, বিজ্ঞানী, মিডিয়া ও বিশেষজ্ঞদের প্রতি অবিশ্বাস এবং ব্যক্তিস্বতন্ত্রতা সম্পর্কে গভীর সাংস্কৃতিক মনোভাবই এ ব্যর্থতার কারণ। এছাড়া জীবনের ওপর আরোপ করা মূল্যবোধগুলোর সম্মিলিত ফলাফল মহামারীর প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ দেশগুলোর তুলনায় ভয়াবহভাবে অপর্যাপ্ত। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার এই সংকটকালে মার্কিনদের স্বাস্থ্য রক্ষা ও ভালো রাখার যে দায়িত্ব তা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং অন্যদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নির্বাচিত কর্মকর্তা কভিড-১৯-এর এই হুমকিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেনি। ভাইরাসটি বড় ধরনের হুমকি হতে যাচ্ছে যখন এটা পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে ফেডারেল প্রচেষ্টাও সর্বতোভাবে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল। সরকারি বিশৃঙ্খলা ভালোভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল এপ্রিলের একটি ঘটনায়। যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও সিনিয়র অ্যাডভাইজর জারেড কুশনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে ফেডারেল প্রতিক্রিয়া বাড়ানোর সময় বিভ্রান্তিমূলকভাবে দাবি করেছিলেন যে ভেন্টিলেটরের ফেডারেল মজুদ, যা কিনা মারাত্মকভাবে অসুস্থ রোগীদের জীবন বাঁচানোর জরুরি সরঞ্জাম, তা রাজ্যগুলোর ব্যবহারের জন্য নয়। তার কথায় এটা স্পষ্ট ছিল না যে যদি আমেরিকানদের জন্য না হয় তবে ভেন্টিলেটরগুলো কাদের ব্যবহারের জন্য। যেখানে বেশির ভাগ মানুষ কোনো না কোনো রাজ্যে বসবাস করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফেডারেল প্রতিক্রিয়া অপ্রতুলতা অতিক্রম করে বরং ক্ষতিকারক হয়ে উঠেছে। এপ্রিলে মহামারী অবস্থার অবনতি হলে কিছু হাসপাতালের কর্মকর্তা, ডাক্তার এবং অন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা চীন থেকে অতিরিক্ত দামে বিভিন্ন সরঞ্জাম আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ওই সময় ফেডারেল সরকার কিছু শিপমেন্টকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল, যদিও তার কারণ অজানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভুল পদক্ষেপ ছিল মাস্ক পরার বিপরীতে অবস্থান নেয়া। যদিও সম্প্রতি তাকেই মাস্কে মুখ ঢাকতে দেখা গেছে। এটা একটা প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান যে মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে উল্লেখযোগ্য কভিড-১৯-এর বিস্তৃতি কমানো সম্ভব। পূর্ব এশিয়ায় মাস্ক পরার চলমান সংস্কৃতিকে সে অঞ্চলে দ্রুত মহামারী নিয়ন্ত্রণের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু যেসব দেশে এমন সংস্কৃতি চালু নেই, সেখানকার রাজনৈতিক ও অন্যান্য পর্যায়ের নেতাদের ওপর এমন আচরণের সংস্কৃতি চালুর দায়িত্ব বর্তায়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্পের ভুল ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য মহামারী সম্পর্কে সবাইকে ভুল বার্তা দিয়েছে, যা কিনা মহামারী সামলানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতাকে ত্বরান্বিত করেছে। টাইম ম্যাগাজিন থেকে সংক্ষেপে অনূদিত