আমেরিকার হাসপাতালে দুই বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা
কিশোর পাশা ইমন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী
আমি আমেরিকার হাসপাতালে দুই বছর কাজ করেছি। সেন্ট জনস হসপিটাল, ক্যালিফোর্নিয়া।
ইমার্জেন্সিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা স্বাভাবিক এবং যুক্তিযুক্ত। বিহাইন্ড দ্য সিন কী চলে আমি জানি। সখ করে আপনাকে বসিয়ে রাখে না। আঙুল কাটা লোককে ৬ ঘণ্টা বসে থাকতে দেখেছি কারণ তার থেকে ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার ভেতরে চলেছে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট মাসের পর না মাসার কারণও আমি জানি। এর কমে সম্ভব না আসলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়া।
এগুলো স্বাভাবিক এবং এটাই গোটা দুনিয়াতে হওয়া উচিত।
আপনাদের সাত জনমের ভাগ্য বাংলাদেশের ডাক্তাররা মানুষ না।
সাক্ষাত ফেরেশতা এবং অবিশ্বাস্য।
তাই যত দ্রুত ডাক্তার পান ও যে খরচে ডাক্তার পান তা সম্ভব হয়েছে।
এরপরও ডাক্তারদের সাথে এত ফ্রিকুয়েন্টলি খারাপ ব্যবহার করা হয় যে সব সময় তাদের মেজাজ তিরিক্ষি থাকা স্বাভাবিক। আমি দেশে ওই প্রফেশনে থাকলে প্রতি পাঁচ মিনিটে একটা করে ঘুষি বসিয়ে দিতাম। উনারা ফেরেশতা বলে তা করেন না।
তারপরও বাংলাদেশে ডাক্তারি পড়া ও করা সবচেয়ে থ্যাংকলেস জব।