প্রতিদিন হার্টের প্রকোষ্ঠগুলোর মধ্য দিয়ে প্রায় ২,০০০ গ্যালন (৭,৫৭১ লিটার) রক্ত পাম্প হয়। এই অবিশ্বাস্য কর্ম সম্পাদনে একে দিনে ১ লাখবারের বেশি স্পন্দিত হতে হয়।

আমাদের প্রতিদিন অজান্তে ১৭,০০০ বার শ্বাসক্রিয়া করতে হয়। সাময়িকভাবে শ্বাস বন্ধ করতে ইচ্ছা করলে তা আমরা স্বেচ্ছা প্রণোদিতভাবে শ্বাস ধরে রাখতে পারি কিছুক্ষণ। এক জোড়া ফুসফুস ধরে রাখতে পারে ৬ লিটার বাতাস।

মস্তিষ্ক কখনো কাজ বন্ধ করে না। গড়ে ৫০,০০০টি চিন্তার মধ্য দিয়ে দৈনিক প্রবাহিত হয়। অনেক বলে তা ৬০,০০০। এর মানে প্রতি মিনিটে ৩৫-৪৮টি চিন্তা।

পাকস্থলীর আস্তরনের কোষ থেকে প্রতি মিলিসেকেন্ডে ক্ষারীয় বস্তু নির্গত হয় এর অম্ল প্রশমনের জন্য। এমন না হলে পাকস্থলী হজম হয়ে যেত। এর অম্ল লোহাও হজম করতে পারে।

আমরা প্রতিদিন ২৮,৮০০ বার চোখের পলক ফেলি গড়ে। একটি পলকের স্থায়িত্ব এক সেকেন্ডের ১০ ভাগের ১ ভাগ। এই ইচ্ছা-প্রসূত রিফ্লেক্স শরীর ব্যবহার করে চোখকে পরিষ্কার আর আদ্র রাখার জন্য। তথ্য যা প্রক্রিয়া করি এর ৯০ ভাগ ভিজ্যুয়াল।

বেশির ভাগ এনার্জি উত্তাপ হিসেবে নির্গত হয়। শরীর এক দিনে ২৫টি আলোর বাল্ব যে উত্তাপ নির্গত করে, শরীর তাপ উৎপন্ন করে এক মানের।

লোহিত কনিকা সারা শরীরে ছুটে বেড়াচ্ছে। পুরো সার্কিট ঘুরে আসতে লাগে ৬০ সেকেন্ড। প্রতিটি কোষ নিচ্ছে ১,৪৪০ ট্রিপ, দিচ্ছে অক্সিজেন।

যাদের কেশ আছে মাথায়, তারা জেনে রাখুন- কেশ প্রতিদিন বাড়ে অর্ধেক মিলিমিটার। মাথায় গড়ে আছে ১,০০,০০০টি কেশ।

মুখের গ্রন্থি থেকে প্রতিদিন উৎপন্ন হয় ১.৫ লিটার লালা। এরকম না হলে মুখ থাকতো শুকনো, হজম হতো না খাবার আর হতো জীবাণুর বসতি।

প্রতি কিডনিতে আছে ১ মিলিয়ন ফিল্টার। এরা একত্রে ফিল্টার করে প্রতি মিনিটে ১.৩ লিটার রক্ত মানে ১,৮৭২ লিটার প্রতিদিন। প্রতিদিন বের করে গড়ে ১.৪ লিটার প্রস্রাব।

আমাদের পরিপাক ক্রিয়া শুরু হয় পাকস্থলীতে পৌঁছানোর আগে। খাবারের গন্ধ পেলে লালা রস ক্ষারণ হয় পরিপাকের সূচনার জন্য। পাকস্থলী দিয়ে খাবার যেতে লাগে ৬-৮ ঘণ্টা আর পুরো পরিপাক প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য দু’দিন। গড়ে মানুষ সারা জীবনে খায় ৫০ টন খাবার।

সবচেয়ে অবিশ্বাস্য আমাদের দেহ কোষের প্রতিদিন হয় পুনর্জন্ম। এর জন্য নেই তাগিদ। প্রতি ৬-১০ মাসে নতুন নখ, প্রতি ১০ বছরে নতুন হাড় এবং ২০ বছরে নতুন হার্ট!

আমাদের মধ্যে এসব অলৌকিক ব্যাপার ঘটছে, জানতে ইচ্ছে হয় না?