Ad
Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫


বিএমইউতে জাতীয় পর্যায়ে গবেষণার চাহিদা ও অগ্রাধিকার নির্ধারণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫) বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এ “জাতীয় পর্যায়েগবেষণার চাহিদা ও অগ্রাধিকার নির্ধারণ” শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার (ডব্লিউএইচও) সহায়তায় আয়োজিত এ কর্মশালাটি দেশের স্বাস্থ্য গবেষণার দিক নির্দেশনা ও অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমইউ-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুলহক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএমইউ-এর প্রো-ভাইসচ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন, বিএমইউ জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম. মোস্তফা জামান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, নিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।

 

কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারীরা জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতে গবেষণার প্রয়োজনীয়তা ও অগ্রাধিকার নির্ধারণে দিকনির্দেশনা মূলক মতামত উপস্থাপন করেন। আলোচনায় গবেষণার ডেলফি মেথডলজি অনুসরণ, প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা (Evidence-Based Medicine) চর্চা, এবং স্বাস্থ্যখাতের নীতিও সিদ্ধান্ত গ্রহণে গবেষণালব্ধ তথ্যকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপকরা হয়।

 

বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে কার্যকর স্বাস্থ্য গবেষণা অপরিহার্য। মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য, বয়স্কদের সেবা, অসংক্রামক রোগ (যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ), রিহ্যাবিলিটেশন সেবা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও শিক্ষার উন্নয়ন, এবং স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

 

বক্তারা আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য গবেষণায় নেতৃত্বমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।সমন্বিত উদ্যোগ ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমেদেশের স্বাস্থ্য গবেষণার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গবেষণা ভিত্তিক নীতি নির্ধারণের সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রতিগুরুত্ব আরোপ করা হয়।

 

কর্মশালার আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা মত দেন, এ ধরনের উদ্যোগ জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য গবেষণার অগ্রাধিকার নির্ধারণে এবং দেশের স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন