ছবিঃ সংগৃহীত
রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন,আজ যদি সুযোগ থাকতো, নিঃসন্দেহে আমিই প্রথম টাইফয়েডের টিকা নিতাম।
তিনি বলেন, “কোভিডের সময় আমি ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে ছিলাম। তখন আমাদের ইনস্টিটিউটে একটি কোভিড টিকাদান কেন্দ্র ছিল। সেই সময় কোভিডের টিকা খুব দ্রুত তৈরি হওয়ায় অনেকের মনে ভয় ছিল—এই টিকা নিলে কী হবে না হবে। তখন আমি নিজেই প্রথম টিকা নিয়ে উদ্বোধন করেছিলাম। আজও যদি সুযোগ থাকতো, আমি প্রথম টিকা নিতাম। আশা করি এবার টিকা নিয়ে আর কোনো ভয় থাকবে না।”
উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “টাইফয়েড সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা জরুরি। এটি এক ধরনের জীবাণু-বাহিত রোগ, যা মূলত দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এটি প্রতিরোধ করা তুলনামূলকভাবে সহজ। আমরা যদি নিয়মিত হাত ধুয়ে খাই এবং খাবারটি টাটকা কি না নিশ্চিত করি, তাহলে টাইফয়েডের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে টাইফয়েডের প্রকোপ তুলনামূলক বেশি এবং এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল। পাশাপাশি ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক অ্যান্টিবায়োটিক এখন আর কার্যকর নয়। এর ফলে প্রতিবছর অনেক শিশু মারা যায়। তাই খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতা, নিয়মিত হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং টিকা গ্রহণে গুরুত্ব দিতে হবে।”
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনকে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে, যাতে আরও বেশি শিশুরা টিকা নিতে উৎসাহিত হয়।”
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাবের হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিড সুধীর যোশী এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব হেলথ চন্দ্রশেখর সোলায়মান।
পরে উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় ধানমন্ডির লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, এক মাসব্যাপী এ কর্মসূচির আওতায় নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমানের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন