Ad
Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫


প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা রোগীর ব্যয় ও মৃত্যুহার কমাবেঃ অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা বিদ্যার চর্চা (ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন প্র্যাকটিস) চিকিৎসা ব্যয় কমানোর পাশাপাশি রোগীর মৃত্যুহার হ্রাসে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম।

 

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) এ এ পর্যন্ত ৩৪টি বিভাগের ১৭০ জন শিক্ষক ও চিকিৎসককে ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সনদ বিতরণ করেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ডা. নুরুন নাহার খানম। সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি অতিরিক্ত পরিচালক ডা. দীনে মুজাহিদ মোহাম্মদ ফারুক ওসমানী।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন, “প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা বিদ্যার চর্চায় চিকিৎসক সমাজ উৎসাহিত হলে রোগীদের খরচ সাশ্রয়ের সাথে সাথে একই রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে লিখিত ওষুধ ও ইনভেস্টিগেশনে খুব একটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হবে না। ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন বিষয়ে প্রশিক্ষণ মেডিক্যাল অডিট, ক্লিনিক্যাল অডিট বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণসহ বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা চর্চায় বিরাট অবদান রাখবে। এই কর্মশালা চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় গণগত মানবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বড় পরিবর্তন সাধন করবে।”

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন বিষয়ক কর্মশালা শিক্ষক ও চিকিৎসককে নিজেকে প্রস্তুত করার, নিজেকে যোগ্য হিসেবে তৈরি করার সুযোগ এনে দিয়েছে। গণগত মান ও দক্ষতা বৃদ্ধি, সঠিক জ্ঞান অর্জনে ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন এর অপরিসীম অবদান রয়েছে।”

 

তিনি আরও বলেন, “চিকিৎসক সমাজ ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হলে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মলিত প্রচেষ্টায় দেশের স্বাস্থ্যখাত উন্নতির শিখরে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”

অংশগ্রহণকারী হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. মারিয়া মাহতাব বলেন, “ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেশের সকল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, ইনস্টিটিউট এ ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এই কর্মশালাকে জাতীয় কর্মসূচীতে রূপান্তর করা উচিত।”

 

আজকের কর্মশালায় রিউমাটোলজি বিভাগ, হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিভ ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগ, শিশু কার্ডিওলজি বিভাগ, ভাইরোলজি বিভাগ, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ, কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি এন্ড এন্ডোডনটিক্স বিভাগ, গাইনীকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগ, অবসটেট্রিকস এন্ড গাইনীকোলজি বিভাগ এবং রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোকাইনোলজি এন্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের মোট ২৯ জন শিক্ষক ও চিকিৎসক অংশ নেন। এছাড়া হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. মারিয়া মাহতাব এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মীর রাশেখ আলম অভিও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন