চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে “অবৈজ্ঞানিক”, “অনভিপ্রেত” ও “অনাকাঙ্ক্ষিত” বলে আখ্যা দিয়েছে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)। সংগঠনটি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মন্তব্য প্রত্যাহার এবং জনগণের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
শনিবার দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এনডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম এবং মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বলেন, উপদেষ্টার এই মন্তব্য চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ ও পেশাদারিত্বকে অস্বীকার করার শামিল। তারা বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা সীমিত সম্পদ, সংকটপূর্ণ অবকাঠামো এবং নানাবিধ চাপ উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে জনগণের সেবায় নিয়োজিত। কোভিড-১৯, ডেঙ্গু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু চিকিৎসক প্রাণ দিয়েছেন। তবুও চিকিৎসক সমাজ দায়িত্ব থেকে সরে আসেননি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সেবায় চিকিৎসকরা স্বেচ্ছায় ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমন বাস্তবতায় সরকারের একজন উপদেষ্টার চিকিৎসকদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য কেবল দৃষ্টিভঙ্গীর প্রশ্নবিদ্ধতাই নয়, বরং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যর্থতা আড়াল করার প্রয়াস।
এনডিএফ নেতারা সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের বক্তব্যে জনগণের মনে চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা তৈরি হতে পারে, রোগীরা বিদেশমুখী হতে পারেন। যা দেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য নেতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে।
তারা বলেন, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য মানে গোটা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও জনগণের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন। তাই চিকিৎসকদের সম্মান, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিবৃতিতে এনডিএফ জানায়, “গঠনমূলক সমালোচনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সৌন্দর্য হলেও তা অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠ ও সম্মানজনক হতে হবে। চিকিৎসক সমাজের মর্যাদা রক্ষায় প্রয়োজনে আমরা সর্বাত্মক আন্দোলনে যেতে প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন