চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম ৩ সপ্তাহে আইসিডিডিআর,বির ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিজের বিভিন্ন শাখায় জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে আসা ১৭১ জন রোগীর মধ্যে ১৪০ জনের দেহে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৮২ শতাংশ। আইসিডিডিআর,বি সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
আইসিডিডিআর,বির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চিকুনগুনিয়া সংক্রমন উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এ কারণে ঢাকাবাসীসহ সবাইকে চিকুনগুনিয়া বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইসিডিডিআর,বি।
চিকুনগুনিয়া কী?
চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ। যা জিকা ও ডেঙ্গুর মত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে যা করবেন:
* আশপাশে জমে থাকা পানি (যেমন ফুলদানি, টব, টায়ার, বালতি এধরনের পাত্রে) প্রতি ৩ দিনে একবার ফেলে দিন, যেন এডিস মশা বংশবিস্তার করতে না পারে।
* অব্যবহৃত পানির পাত্র ঢেকে রাখুন এবং ব্যবহৃত পাত্রগুলো ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করুন— কারণ মশার ডিম পাত্রের গায়ে লেগে থাকতে পারে।
* মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে মশানাশক স্প্রে বা ওষুধ ব্যবহার করুন।
* ঘরের ভেতরে স্প্রে, কয়েল,জানালায় নেট, এবং দিনে-রাতে মশারী ব্যবহার করুন।
* মশার কামড় এড়াতে হালকা রঙের ফুলহাতা জামা ও লম্বা প্যান্ট পরুন।
চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ:
* হঠাৎ জ্বর
* মাথাব্যথা
* গিরায় গিরায় ব্যথা
* পেশিতে ব্যথা
* র্যাশ বা ফুসকুড়ি
* বমিভাব
* দুর্বলতা
আইসিডিডিআর,বির তথ্যে বলা হয়েছে, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও জিকার উপসর্গে মিল থাকতে পারে। ভুল চিকিৎসার ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইসিডিডিআর,বি।
আরও পড়ুন