Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫


মনিটরিংয়ের অভাবে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর বাস্তবায়ন হয়নি

Main Image


সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন। শনিবার (২১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ভূমিকম্প সুরক্ষা প্রস্তুতি’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। 

 

অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, মেডিকেল বর্জ্য সমস্যা একদিনে সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু শুধুমাত্র সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে অনুসরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রীজম সংস্থা কানাডা সরকারের আর্থিক সহায়তায় কয়েকটি হাসপাতালে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে। কিন্তু সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। 

 

সেমিনারে প্লাস্টিক ও পলিথিন প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা’র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. ফিরোজ আহমেদ, শিল্প ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং ভূমিকম্প ও প্রস্তুতি বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা’র নগরায়ন ও নগর সুশাসন বিষয়ক প্রোগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম।

 

সেমিনারে বলা হয়, প্লাস্টিক বর্জ্য বিভিন্ন নদী অববাহিকা অতিক্রম করে সাগরে গিয়ে পড়ে। সূর্যের রশ্মি এবং অন্যান্য প্রক্রিয়ায় প্লাস্টিক ভেঙে মাইক্রো প্লাস্টিকে পরিণত হয় যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মানবদেহে মাইক্রো প্লাস্টিক প্রবেশের পর এটি দেহকোষে প্রবেশ করে কোষের ক্ষতি সাধন করে। বর্তমানে বিশ্বে মাইক্রো প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ বছরে প্রায় ০.৮৫ মিলিয়ন টন।

 

সেমিনারে চিকিৎসা বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব নিরসনে নিম্নোক্ত সুপারিশ ও দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়ঃ 

 

১. প্রতিটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আলাদা আলাদা করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা, প্রশিক্ষিত জনবল থাকতে হবে এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে।

 

২. চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ ও নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি শহরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

 

৩. ইনসিনারেটর বা অটো-ক্লেভ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিকিৎসা বর্জ্য ধ্বংস বা জীবানুমুক্ত করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

 

৪. সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে এবং নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।

আরও পড়ুন