যশোরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। গত তিন দিনে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে করোনায় আক্রান্ত তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে মারা গেছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সাবিলা বেগম (৫৫)।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নিশ্চিত করেছেন যে, মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে এই তিনজনের মৃত্যু মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সাবিলা বেগম ৫ জুন ঠান্ডা, কাশি ও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে এবং পরে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে ২০ জুন বিকেলে তিনি মারা যান। আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. রবিউল ইসলাম তুহিন জানান, সাবিলা বেগম আগে থেকেই শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন, যার কারণে করোনা সংক্রমণে তার দ্রুত অবস্থার অবনতি হয়।
এর আগে গত বুধবার ভোরে বাঘারপাড়া উপজেলার আমির হোসেন (৬৮) এবং রাতে মণিরামপুর উপজেলার ইউসুফ আলী (৪৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এদিকে, করোনা পরীক্ষা কিটের সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার কিটের চাহিদা দিলেও মাত্র ২ হাজার কিট পেয়েছে। এসব কিট শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি সন্দেহভাজন রোগীদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ব্যবহৃত হবে। সীমিত সরবরাহের কারণে বহির্বিভাগে আপাতত পরীক্ষা সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত সকলকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ পরিস্থিতি দিন দিন উদ্বেগজনক হচ্ছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা জানান, কেবল জেনারেল হাসপাতাল কিট পেয়েছে; অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনো পৌঁছায়নি, তবে চলতি সপ্তাহে সেগুলোও পেয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিট সংকটের কারণে এতদিন সরকারি পরীক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল, তবে শনিবার (২২ জুন) থেকে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পরীক্ষা শুরু হবে।
আরও পড়ুন