অযথা সিজার অপারেশন বন্ধ করে নরমাল ডেলিভারিকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, অযথা সিজারের কারণে অনেক মা আজীবন পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার রংপুরের ডিসির হল রুমে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা দান কার্যক্রম জোরদারকরণ ও করণীয় শীর্ষক একটি সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মামুনুর রশিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ময়নুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন।
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারিকে উৎসাহিত করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে ৯৮ ভাগ নরমাল ডেলিভারি হয়। আমাদের দেশে ৯৮ ভাগ সিজার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একজন মা সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। সিজার করলে আমরা মনে করি, মহিলা কষ্ট পাবে না, বাচ্চার কোনো পেইন হবে না। কিন্তু আমরা যে ক্ষতিটা করলাম, সুস্থ একজন মহিলাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু করে দিলাম। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কথায় কথায় আমরা সিজার করবো, এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বন্ধ করতে হবে সিজার। এটা বন্ধ করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের কাজ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিক সেবা নিশ্চিত করে রেফার্ড সিস্টেম এগিয়ে নিতে হবে। সারাদেশে ১৪ হাজার ৩৬৩ ক্লিনিক চালু রয়েছে। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৬৩ কোটি ভিজিট এবং ১ কোটিরও বেশি জরুরী রোগীকে রেফার্ড করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ২২ প্রকার ওষুধ দেয়া হয়। এই ওষুধ জনগণ যেন পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। না করলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মীকে রাজস্বখাতে নেওয়া হয়েছে। তাদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন