Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫


নোয়াখালীতে করোনা পরীক্ষা বন্ধ, নেই কিট ও অকেজো আরটিপিসিআর মেশিন

Main Image


ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারাদেশে যখন আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, ঠিক তখনই কিট সংকট ও ল্যাব যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়েছে। এর ফলে নোয়াখালীতে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে করোনা পরীক্ষা। নোয়াখালী সিভিল সার্জনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ডেইলি স্টার। 


নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. সালাহ উদ্দিন আনাস ডেইলি স্টারকে বলেন, “চলতি মাসের শুরু থেকে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, শরীর ও মাথাব্যাথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট।” তবে করোনা পরীক্ষার কিট না থাকায় রোগীদের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট না থাকায় পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ১০ হাজার কিটের চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। কিট পেলে পরীক্ষা শুরু করা হবে।”

 

অন্যদিকে, নোয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর মেশিনটিও দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় অকেজো হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ডা. আনিছুর রহমান। তিনি জানান, “নোয়াখালীসহ দেশের ১৯টি মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। মেশিন সার্ভিসিংয়ের জন্য টেকনিশিয়ান পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”

 

এ বিষয়ে নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি বলেন, “জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিট না থাকায় পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। কিট সরবরাহ পেলেই পরীক্ষা চালু হবে। জেলার ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।” করোনা সংক্রমণ বাড়লেও নোয়াখালীতে পরীক্ষার মতো অবকাঠামো প্রস্তুত না থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির কথাই উঠে আসছে, বলছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারি চলাকালে জেলার রোগীদের নমুনা পরীক্ষা হতো নোয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, “আমাদের নির্দেশ দিলে এবং কিট সরবরাহ করা হলে আমরা আবারও করোনা পরীক্ষা শুরু করতে প্রস্তুত।”


 

আরও পড়ুন