Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫


মাস্ক ব্যবহার: করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার সঠিক পথ

Main Image


মাস্ক পরা শুধু কোভিড-১৯ প্রতিরোধেই নয়, বরং অন্যান্য বায়ুবাহিত রোগ, ধুলাবালি, দূষণ, অ্যালার্জি ও ঠান্ডা আবহাওয়ার ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সর্দি-কাশির মতো রোগ ছড়ানো রোধ, এবং হাসপাতাল বা জনবহুল স্থানে রোগ প্রতিরোধে মাস্ক একটি কার্যকর ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে বিবেচিত।

 

মাস্ক ব্যবহারের পেছনের কারণ

কোভিড-১৯ মূলত আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস, কাশি বা হাঁচির সময় বেরিয়ে আসা ছোট ছোট জলকণার (ড্রপলেট) মাধ্যমে ছড়ায়। এমনকি উপসর্গবিহীন ব্যক্তিরাও ভাইরাসটি ছড়াতে পারেন। এ কারণে জনবহুল জায়গায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হলে মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি। এটি সংক্রমণ রোধে কার্যকর একটি উপায়।

 

পরিস্থিতি অনুযায়ী মাস্কের ধরন বেছে নেওয়ার পরামর্শ

আপনি যদি এমন এলাকায় থাকেন যেখানে সংক্রমণ বেশি এবং আপনার কোনো উপসর্গ না থাকে, তাহলে কাপড়ের তৈরি নন-মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করা যথেষ্ট। তবে বয়স্ক, ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা কোভিড-১৯ রোগীর সরাসরি পরিচর্যায় নিয়োজিত থাকলে মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করাই ভালো। উপসর্গ থাকলে অবশ্যই মেডিকেল মাস্ক পরা উচিত।

 

উপযুক্ত কাপড়ের মাস্কের গঠন ও বৈশিষ্ট্য

ভালো মানের কাপড়ের মাস্ক তৈরি হয় তিনটি স্তর দিয়ে:

ভেতরের স্তর: সুতি কাপড়ের মতো এমন উপাদান যা ঘাম বা ত্বকের আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে।

মাঝের স্তর: পলিপ্রোপাইলিন বা অনুরূপ বোনা নয় এমন ফিল্টার উপাদান।

বাইরের স্তর: পলিয়েস্টার বা এর মিশ্রণ, যা পানি শোষণ করে না।

মাস্কটি এমনভাবে তৈরি হতে হবে যেন এটি পুরো নাক, মুখ এবং চিবুক ঢেকে রাখে ও ভালোভাবে মুখে আটকানো থাকে।

 

মাস্ক পরিষ্কার ও সংরক্ষণের নিয়ম

কাপড়ের মাস্ক প্রতিদিন অন্তত একবার ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। গরম পানি (৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি) এবং সাবান ব্যবহার করে ধোয়া সবচেয়ে কার্যকর। ধোয়ার পর পুরোপুরি শুকিয়ে একটি পরিষ্কার ব্যাগে রাখুন, যাতে তা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য থাকে।


 

আরও পড়ুন