ঢাকা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের কৃতি শিক্ষার্থী অর্ভিন আদিত্য (DMC k-79)
কোভিড পরবর্তী ফুসফুস জটিলতায় ভুগে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের কৃতি শিক্ষার্থী অর্ভিন আদিত্য (DMC k-79)। রোববার (১ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী আলফাজ হোসাইন। তাঁর দেয়া তথ্যমতে, রোববার মৃত্যুর আগে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় অর্ভিন আদিত্যর। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে তৎক্ষণাৎ সিপিআর দিয়ে স্বাভাবিক করেন। কিন্তু তার অল্প সময় পরই চিরজনমের মতো না ফেরার দেশে চলে যান।
প্রয়াত অর্ভিন আদিত্য সম্পর্কে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী আলফাজ হোসাইন লিখেছেন, বাংলাদেশের মেডিকেলের ইতিহাসে সেরা একটা স্টুডেন্ট DMC k-79 (৪র্থ বর্ষ) এর অর্ভিন আদিত্য( Arvin Aditya) ভাই আর নেই।কিংবদন্তীর মতো মনে হতো ভাইকে। যিনি পেশাগত পরীক্ষায় ১ম হতেন ও প্লেসকারী। বাংলাদেশের বড় সম্পদ ছিলেন,এত সুন্দর ব্যবহার ও হাতের লেখা ও তুখড় মেধাবী শিক্ষার্থী।
সৃষ্টিকর্তা বেশি ট্যালেন্ট মানুষ কে কি পৃথিবীতে সুযোগ কম দেন? উনি ICU তে ছিলেন। আজ ও Cardiac Arrest করেছিলো।১০ মিনিট CPR দিয়ে ঠিক হলেও, একটু আগে 9:30PM এ তিনি না ফেরার দেশে চিরজনমের মতো চলে গেলো। উনি কোভিড পরবর্তী ফুসফুস জটিলতায় ভুগতেছিলেন
দীর্ঘদিন ধরে Respiratory tract infection এ আক্রান্ত ছিলো। শুরুর দিকে COVID, এরপর Rickettsial Atypical pneumonia, Acute interstitial pneumonia, pharyngitis, Lower lobe atelectesis, সেখান থেকে acute respiratory distress syndrome. Oxygen saturation কমে যাওয়ার কারণে কিছুদিন আগে ICU তে নিতে হয়েছিল। অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষার পর ধরা পড়লো Severe Restrictive Ventilatory Defects consistent with DPLD (Diffuse Parenchymal Lung Disease)। ওর Total lung capacity 42%, আর DLCO মাত্র 10%. ARDS এর সাথে septicemia develop করায় তাকে ICU তে life support দেয়া হচ্ছিলো।
জীবন কতটা অনিশ্চিত। দুনিয়া কত ছোট্ট।এত লেখাপড়ার মুল গন্তব্যটাই এত কঠিন? উনার সকল নোট pdf পুরো বাংলাদেশের স্টুডেন্ট এর কাছে অনেক জনপ্রিয়।
উল্লেখ্য, প্রয়াত অর্ভিন আদিত্য প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় ঢাবি অধিভুক্ত ৫৪টি মেডিকেল কলেজের প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এনাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমেস্ট্রি- তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ মেডিকেলের সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেন। পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত গড় নম্বর ছিল ৯৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশের মেধা তালিকায় ৭৩তম স্থান অর্জন করেন ময়মনসিংহের সন্তান অর্ভিন। এইচএসসি পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি। এর আগে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন অর্ভিন আদিত্য।
আরও পড়ুন