Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫


বাংলাদেশে অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করবে তুরস্ক

Main Image


বাংলাদেশে অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. কেমাল মেমিসওলোর সঙ্গে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হকের এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আশ্বাস দেয়া হয়। রোববার (১ জুন) তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

দূতাবাস জানায়, বিগত বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বাংলাদেশে হাসপাতাল নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার পর্যাপ্ত জায়গা বরাদ্দ না করায় হাসপাতালটি আলোর মুখ দেখেনি।

 

সম্প্রতি বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর তুরস্ক ভ্রমণকালে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের জায়গা বরাদ্দবিষয়ক সমস্যাটি তুলে ধরেন। এ সময় তিনি জায়গা বরাদ্দ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে নিশ্চয়তা দেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পুনরায় বিষয়টিতে জোর দেন। তিনি তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।

 

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে জানান, শিগগিরই একটি কমিটি গঠন করে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তুরস্ক কর্তৃক হাসপাতালটি নির্মাণ হলে যেন বাংলাদেশিদের তত্ত্বাবধানেই পরিপূর্ণভাবে পরিচালিত হতে পারে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। এছাড়াও তিনি জানান যে, এর নির্মাণ হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বড় পরিবর্তন হবে এবং জটিল রোগীদের তখন বিদেশমুখী হতে হবে না।  

 

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জুলাই অভ্যুত্থানে আহত সাতজন বাংলাদেশিদের তুরস্কে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তুরস্ক সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি প্রস্তাব করেন যে, তুরস্ক প্রদত্ত বিশেষ সুবিধার আওতায় সম্ভব হলে আরও আহত বাংলাদেশিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য তুরস্কে আনার সুযোগ দিতে। এর প্রতিউত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহত রোগীদের মধ্যে যাদের উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ করা সম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়, তাদের একটি তালিকা প্রদান করতে অনুরোধ করেন।

 

বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশি চিকিৎসক এবং নার্সদের তুরস্কে প্রশিক্ষণ প্রদান, জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানে তুরস্ক হতে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল প্রেরণ এবং অভ্যুত্থানে যারা অঙ্গ হারিয়েছেন তাদের কৃত্রিম অঙ্গ স্থাপনে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। উভয় দেশের কল্যাণে স্বাস্থ্যখাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক সদিচ্ছা এবং যৌথ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হয়।

আরও পড়ুন