২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহজীকরণে ফাস্ট ট্র্যাক ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। একইসাথে নিয়মিত ওষুধ সরবরাহের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব মো. শাহাদাত হোসেন কবিরের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেশের সব হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জন, তত্ত্বাবধায়কদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসার মাসিক প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে ফাস্ট ট্র্যাক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক বা তত্ত্বাবধায়কদের বলা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আহতদের যথাযথভাবে ফাস্ট ট্র্যাক চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহের নির্দেশনা থাকলেও অনেক সময় ওষুধ না দিয়ে স্লিপ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
‘তাদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নিতে হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা রোগনির্ণয়ের সুবিধাও তারা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে সমাধান করে আহতদের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
চিঠিতে ফাস্ট ট্র্যাক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে– আহতদের যথাযথভাবে ফাস্ট ট্র্যাক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং এ বিষয়ে সংযুক্ত ছক অনুযায়ী মাসিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে; প্রয়োজনমাফিক সব ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে; সরকারি হাসপাতালে বিদ্যমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা রোগনির্ণয় সেবা দিতে হবে; যন্ত্রপাতির ঘাটতি বা অন্য কোনো কারণে হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে তা করিয়ে এনে বিল দাখিল করবে।
আরও পড়ুন