Advertisement
Doctor TV

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫


বিশেষ বিসিএসে আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য

Main Image


৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের লক্ষ্যে বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এটি ‘৪৮তম বিশেষ বিসিএস’। এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে ‘৪২তম বিশেষ বিসিএসে’র মাধ্যমে দুই হাজার পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। 

 

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে কারা আবেদন করতে পারবেন, যোগ্যতা কী, বয়সসীমা কত, পরীক্ষা পদ্ধতি ও নম্বর বণ্টন কেমন হবে- এ সব বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে পিএসসি। নিচে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।

 

আবেদন করতে পারবেন যারা
বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের সহকারী সার্জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদ দুটিতে আবেদন করতে প্রার্থীদের যথাক্রমে এমবিবিএস অথবা সমমানের ডিগ্রি এবং বিডিএস অথবা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে কেউ আবেদন করতে পারবেন না।

 

যদি কোনো প্রার্থী বিদেশ থেকে অর্জিত কোনো ডিগ্রিকে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের পদের জন্য প্রযোজ্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সমমানের দাবি করেন, তাহলে তাকে বিএমডিসির সমমানের সনদের সত্যায়িত কপি মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে জমা দিতে হবে। একইভাবে ভিন্ন নামের কোনো ডিগ্রির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সমমানের দাবির ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত সমমান সনদ জমা দিতে হবে। সনদের মূলকপি মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে। অন্যথায় মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না।

 

অ্যাপিয়ার্ড বা অবতীর্ণ প্রার্থীর করণীয়
যদি কোনো প্রার্থী এমবিবিএস অথবা সমমান, বিডিএস অথবা সমমানের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন এবং তার পরীক্ষার ফলাফল ৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর আবেদনপত্র দাখিলের (অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের) শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রকাশিত না হয়, তাহলেও তিনি অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে তা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে।

 

এমসিকিউ-মৌখিক মিলিয়ে ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা, কেন্দ্র শুধুই ঢাকা
কেবল সেই প্রার্থীকেই অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে, যার এমবিবিএস অথভা বিডিএস কিংবা সমমানের সকল লিখিত পরীক্ষা ৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ তারিখ অর্থাৎ, ২৫ জুনের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়েছে এবং তিনি লিখিত পরীক্ষায় পাস করে ডিগ্রি অর্জন করবেন।

 

তবে এক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে লিখিত পরীক্ষাসমূহের কোনোটিতে ফেল করাসহ অন্য কোনো কারণে ডিগ্রি অর্জিত না হলে, তার প্রার্থিতা বাতিল গণ্য হবে।

 

আবেদনকারীর বয়সসীমা
২০২৫ সালের ১ মে তারিখে প্রার্থীর বয়স ২১ বছর হতে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। সর্বনিম্ন জন্মতারিখ ২০০৪ সালের ২ মে এবং সর্বোচ্চ জন্মতারিখ ১৯৯৩ সালের ২ মে। প্রার্থীর বয়স কম বা বেশি হলে, তার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

 

অনলাইন আবেদন ১ থেকে ২৫ জুন
বিশেষ এ বিসিএসে অনলাইন আবেদন শুরু হবে আগামী ১ জুন। এদিন সকাল ১০টা থেকে আবেদন ও ফি জমা দেওয়া যাবে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ, ২৮ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফি জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা।

 

কোনো প্রার্থী ফি জমা দিয়ে চূড়ান্তভাবে অনলাইনে আবেদন করর পর পুনরায় আবেদন করতে পারবেন না। কেউ মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে একাধিকার ফরম পূরণ করলে যেকোনো স্তরে তা বাতিল করা হতে পারে।

তবে নতুন পদ সৃষ্টি, পদ বিলুপ্তি, পদোন্নতি, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগ অথবা অপসারণ ইত্যাদি কারণে বিজ্ঞাপিত শূন্যপদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে পিএসসি।

 

বিশেষ বিসিএসে আবেদন ফি
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে সাধারণ প্রার্থীদের আবেদন ফি হবে ২০০ টাকা। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ফি ৫০ টাকা। টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করা যাবে। কেউ সাধারণ প্রার্থী হয়েও নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী হিসেবে ৫০ টাকা ফি পরিশোধ করলে পরবর্তীতে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।

 

জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে পরীক্ষা
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এটি বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

 

পরীক্ষার সময় ও নম্বর বণ্টন
বিশেষ এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে দুই ঘণ্টা। ২০০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ২০, ইংরেজি ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, মানসিক দক্ষতা ১০ ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

 

বাকি ১০০ নম্বর থাকবে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার ও পদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয় থেকে। চিকিৎসক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেডিকেল সায়েন্সের বিষয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

 

এছাড়া লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি এমসিকিউর (বহুনির্বাচনি) জন্য ১ নম্বর থাকবে। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে।

 

৩০০ নম্বরের এমসিকিউ ও মৌখিক পরীক্ষা
 

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এরমধ্যে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে যারা উত্তীর্ণ হবেন, তাদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে।

কোনো বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা থাকবে না। ফলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এ বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ এবং নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি।

 

পরীক্ষা হবে শুধু ঢাকাতেই
সাধারণ বিসিএসের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা পরীক্ষাগুলো ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুধু রাজধানী ঢাকায়। তবে প্রার্থীর সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয়তা প্রতীয়মান হলে ঢাকার বাইরেও অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হতে পারে।

আরও পড়ুন