নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ

আজ ২৮ মে, নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো, মাতৃমৃত্যু কমানো এবং নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্ব দিতে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘মাতৃস্বাস্থ্যসেবায় সমতা: কোনো মাকে পেছনে না রেখে।’ 

বাংলাদেশে সরকার ১৯৯৭ সাল থেকে এ দিবসটি পালন করে আসছে। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দিবসটিকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (SDG) অন্তর্ভুক্ত করে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে হলে সময়মতো চিকিৎসা, প্রশিক্ষিত ধাত্রী বা চিকিৎসকের সহায়তা এবং গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চেকআপ জরুরি। তবে বাস্তব চিত্র বলছে, অনেক নারী এখনো এসব সেবার বাইরে রয়েছেন।

জাতিসংঘ ও WHO-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে গর্ভধারণ বা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান প্রায় ৮০০ নারী। প্রসব পরবর্তী জটিলতায় ভোগেন আরও কয়েক কোটির মতো নারী। এদের অনেকেই দীর্ঘমেয়াদে নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হন।

দেশে প্রতি বছর গর্ভধারণ বা সন্তান প্রসবজনিত জটিলতায় মারা যান প্রায় ১২ হাজার নারী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, দেশে প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মের বিপরীতে ১৬৫ জন নারীর মৃত্যু হয়। এই সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে কমিয়ে ৭০ জনে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায়।

চিকিৎসকদের অভিমত, অনেক সময় নারীরা ঘরে সন্তান জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করেন বা দেরিতে হাসপাতালে আসেন। এতে সময় নষ্ট হয়, রোগীর অবস্থা জটিল হয়। অনেক ক্ষেত্রে রোগী যখন হাসপাতালে আসেন, তখন আর চিকিৎসার সুযোগ থাকে না।

তাই সময়মতো প্রসবসেবা নিশ্চিত করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে দরকার সচেতনতা, পরিবার ও সমাজের সহায়তা এবং সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা।