ওষুধের কাঁচামাল তৈরির সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ)। মঙ্গলবার (২৭ মে) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ এপিআই অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএআইএমএ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামীম হায়দার এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ওষুধের কাঁচামাল শিল্পের বিকাশে ডিজিডিএর আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।
ডিজিডিএ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামীম হায়দার বলেন, ‘দেশে ওষুধের কাঁচামাল শিল্পের বিকাশ হোক এটি আমাদেরও চাওয়া। এই খাতের বিকাশে আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। কাঁচামালের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে একসঙ্গে কাজ করবো।’
বৈঠকে ডিজিডিএ জানায়, চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধ দেশে তৈরি হলেও এর কাঁচামালের প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। এই নির্ভরতা কমাতে এপিআই প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাতদিন ২৪ঘণ্টা ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন করতে হবে। এতে উৎপাদন বাড়বে। ফলে দামও তুলনামুলক কমবে।
বৈঠকে বিএআইএমএর সভাপতি এসএম সাইফুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ওষুধের কাঁচামাল তৈরিতে নীতি সহায়তার জন্য কমিটির গঠন করতে হবে। যাতে প্রয়োজনে সেই কমিটির সঙ্গে আলোচনা করতে পারি। ওষুধের গুণগত মান রক্ষা ও সরবরাহ শৃঙ্খল আনতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ব্লক লিস্ট কমিটিতে বিআইএমএর প্রতিনিধি রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসএম সাইফুর রহমান বলেন, দেশীয় এপিআই প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৬৫০ মেট্রিক টন প্যারাসিটামলের কাঁচামাল উৎপাদন হয়। সরকার চাইলে এই উৎপাদন আরও বাড়ানো যাবে। তবে তার আগে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্যারাসিটামলের কাঁচামাল আমদানি করা বন্ধ করতে হবে।
নিপ কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, সরকারের নীতি সহায়তায় বিশ্বের মধ্যে অবস্থান তৈরি করতে পারেছে ওষুধশিল্প। কাঁচামাল শিল্পে বিকাশেরও এমন নীতি সহায়তা জরুরি।
বৈঠকে গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেডের এম জামাল উদ্দিন, সোডিক্যাল মেডিকেল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্ল্ড এপিআই কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের প্লান্ট ডিরেক্টর জাকির হোসেন, ডায়াবেটিকস সাইন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ মাহমুদ এবং গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ম্যানেজার হামাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন