প্রতিদিন অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে দেশে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের মতো অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণজনিত সমস্যায় প্রতি বছর দেশে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বুধবার (১৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিশ্ব লবণ সচেতনতা সপ্তাহ ২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সব তথ্য উঠে আসে।
জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত ‘বিশ্ব লবণ সচেতনতা সপ্তাহ’ পালন করা হয়। সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য—‘অতিরিক্ত লবণ বর্জন করি, সুস্থ জীবন গড়ি’।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানের লবণ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সমন্বয়ক ডা. আহমাদ খাইরুল আবরার।
মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, বাংলাদেশে একজন প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিদিন গড়ে ৯ গ্রাম লবণ গ্রহণ করছেন। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ করেছে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫ গ্রাম লবণ গ্রহণ করার জন্য। এই অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ন্যাকস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, চিপস, বিস্কুট, এমনকি নোনতা মনে না হওয়া খাবারগুলোতেও লবণের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এই লবণ সরাসরি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর শুধুমাত্র অতিরিক্ত লবণজনিত অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- সরকারের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পিএম-১ ডা. নরুল ইসলাম, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভুঁইয়া, জাতীয় পুষ্টিসেবার ডেপুটি প্রোগ্রাম প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আজমেরী শারমিনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন