রেসিডেন্সি এবং নন-রেসিডেন্সিতে সেগমেন্টাল পাশসহ সাতদফা দাবিতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল কমিউনিটি (বিএমসি)
রেসিডেন্সি এবং নন-রেসিডেন্সিতে সেগমেন্টাল পাশসহ সাতদফা দাবিতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল কমিউনিটি (বিএমসি)। রোববার বিএমসির প্রতিনিধিরা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে গিয়ে সরাসরি স্মারকলিপি তুলে দেন। এর আগে বিএমইউর ভিসি অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম, প্রোভিসিও, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টেও স্মারকলিপি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল কমিউনিটি এর উদ্যোগে পোস্ট গ্রাজুয়েশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (রেসিডেন্সি এবং নন-রেসিডেন্সি) এর পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি সম্পর্কে বলা হয়েছে, জুলাই বিপ্লব এর পর নতুন বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হলেও চিকিৎসক সমাজ অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ করছে যে, বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ তৈরির অন্যতম মাধ্যম রেসিডেন্সি ও নন-রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম এ বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
চিকিৎসক ও মেডিকেল স্টুডেন্টদের নিয়ে গঠিত সংগঠন "Bangladesh Medical Community(BMC)" রেসিডেন্সি এবং নন-রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম সংস্কারে Post Graduation Reform Initiative (Residency and Non-Residency) এর মাধ্যমে নিম্নোক্ত ৭ দফা দাবি উত্থাপন করছে।
দাবিগুলো হলোঃ
১) 'রেসিডেন্সি ও নন-রেসিডেন্সি সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুইজন রেসিডেন্ট ও দুইজন নন-রেসিডেন্টসহ কমিটি গঠন করে যৌক্তিক সংস্কার সাধন করতে হবে।।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কোর্স কারিকুলাম আপডেট করে ট্রেইনিদের হাতে কলমে ইন্টারভেনশন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি শেখার সুযোগ দিতে হবে।
বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য ই-লগবুক নিশ্চিত করতে হবে।
সকল প্রতিষ্ঠানে সকল রেসিডেন্টদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা, থিসিস গ্র্যান্ট, বুক গ্রান্ট, ট্রেনিং মডিউলসহ সমান সুযোগ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্টদের সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো প্রণয়ন করে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
সকল প্রতিষ্ঠানে ক্লাস, ট্রেনিং, ব্লকের অভিন্ন মান নিশ্চিতকরণে অবিলম্বে "Quality Assurance Team" গঠন করতে হবে।
কোর্স ডিউরেশন এর ব্যাপারে পূনর্বিবেচনা করতে হবে।
• ট্রেনিং এর স্বীকৃতি দিতে হবে এবং উক্ত ট্রেনিং অন্য যেকোনো পোস্ট গ্রাজুয়েশন এ গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
২) সেগমেন্টাল পাশ নিশ্চিতকরণ
কমিশন এর সুপারিশ অনুযায়ী সেগমেন্টাল পাশ এর একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করে জানুয়ারি ২০২৫ সেশনে যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের থেকেই কার্যকর করতে হবে।
৩) পরীক্ষা পদ্ধতির যুগোপযোগী সংস্কার করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পরীক্ষা পদ্ধতি পুরোপুরি ঢেলে সাজাতে হবে।
প্রতিটি পরীক্ষায় ডিপার্টমেন্ট ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক পাশরেট এর অসামঞ্জস্য দূর করে নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষা, ফেইজ-এ এবং ফেইজ-বি পরীক্ষার মার্ক পরীক্ষার পর দ্রুততম সময়ে প্রকাশ করতে হবে।
এক্সামিনার এবং ট্রেইনারদের জন্য রিভিউ সিস্টেম এবং জবাবদিহিতা চালু করতে হবে।
বিএমইউ ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার আয়োজন করা যেতে পারে।
৪) ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রিক সংস্কার
ভর্তি পরীক্ষার ফি কমিয়ে এক হাজারের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
পরীক্ষায় অংশ নিতে ইন্টার্ন শেষ হওয়ার পর এক বছর সম্পন্ন হওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল করতে হবে।
ন্যূনতম তিনটি সাবজেক্ট চয়েস এর ব্যবস্থা করতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় ওয়েটিং লিস্ট এবং মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।
৫) ফেইজ-এ, ফেইজ-বি এবং ডিপ্লোমা ফাইনাল পরীক্ষা কেন্দ্রিক সংস্কার
পরীক্ষার ফি কমিয়ে পাচ হাজারের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
• ভর্তি ফি সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ অভিন্ন হবে এবং তা দশ হাজারের মধ্যে হতে হবে।
৬) ক্যারি অন সিস্টেম চালু করতে হবে
যে কোন পরীক্ষায় ফেল করলে পরিক্ষার্থীর জন্য ন্যূনতম একবছর ক্যারি অন সিস্টেম চালু করতে হবে।
৭) ডিপ্লোমা ডিগ্রীর নাম পরিবর্তন করতে হবে
ডিপ্লোমা ডিগ্রীর নাম পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নাম দিতে হবে।
গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন