অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গেলো ২৩ মার্চ দক্ষিণ গাজায় জরুরি বিভাগের ওই কর্মীদের হত্যা করা হয়। রোববার (৬ এপ্রিল) বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে তাদের সৈন্যরা ভুল করে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
রাফার কাছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) অ্যাম্বুলেন্স, জাতিসংঘের একটি গাড়ি এবং গাজার সিভিল ডিফেন্সের একটি অগ্নিনির্বাপক ট্রাকে গুলি চালানো হয়।
ইসরায়েল প্রথমে দাবি করেছিল যে, হেডলাইট বা কোনো ধরনের আলো ছাড়াই অন্ধকারে ‘সন্দেহজনকভাবে’ গাড়ি বহর এগিয়ে আসার কারণে সৈন্যরা গুলি চালিয়েছিল।
কিন্তু নিহত হওয়া প্যারামেডিকদের একজনের মোবাইলের ফুটেজ খুঁজে দেখা গেছে যে, আহতদের সহায়তা দেয়ার সময় যানবাহনগুলোতে আলো জ্বলছিল। অর্থাৎ ইসরায়েলি বাহিনীর ওই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এদিকে, গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসা সূত্র। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ভূখণ্ডের দক্ষিণে একটি তথাকথিত ‘নিরাপত্তা করিডোরে’ স্থল সেনা মোতায়েন করেছে।
চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বিমান হামলায় কমপক্ষে ছয়জন এবং উত্তরে বেইত হানুনে অভিযানে আরও ছয়জন নিহত হয়েছে।
শনিবার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনা দক্ষিণ গাজাজুড়ে একটি নতুন প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা করিডোরে মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই সপ্তাহের শুরুতে নতুন ‘মোরাগ করিডোর’ ঘোষণা করেছিলেন এবং পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এটি দক্ষিণের রাফা শহরকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে, যাকে ইসরায়েল জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
মোরাগ হল রাফাহ এবং খান ইউনিসের মধ্যে অবস্থিত একটি ইহুদি বসতির নাম এবং নেতানিয়াহু পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এটি শহরগুলোর মধ্যে চলবে।
আরও পড়ুন