Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫


কুমেকে চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের বিচার ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি ইউমবের

Main Image

চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশনস্ অব বাংলাদেশ (ইউমব


কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশনস্ অব বাংলাদেশ (ইউমব)। শনিবার (২২ মার্চ) এক জরুরি বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। 

 

ইউমবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে- অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো হচ্ছে যে, গত ২১ মার্চ ২০২৫ তারিখ রাতে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন রোগী অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসার দেয়ার পরও রোগী আনুমানিক রাত ৯ টায় মৃত্যুবরণ করেন। এর পরপরই কুমেকহা তে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে রোগীর আত্মীয়স্বজন ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। আমরা, দেশের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সকল সংগঠন এ কাপুরুষোচিত হামলার জোরালো প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

 

আমরা গতকাল রাত থেকে দেখছি, গণমাধ্যমগুলো "ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু” শীর্ষক বানোয়াট শিরোনামের পাশাপাশি "চিকিৎসকদের হামলায় সাংবাদিক আহত" শীর্ষক আরেকটি বানোয়াট শিরোনামে সংবাদ প্রচার করছে, যার মাধ্যমে জনমনে। দেশের চিকিৎসক সমাজ সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ধারণার সঞ্চার ঘটানো হচ্ছে। মূলত গতকাল কুমেকহা তে যেসকল সাংবাদিক আহত হয়েছেন তারা উত্তেজিত জনতার মাঝে পড়ে গিয়েছিলেন, যেখান থেকে স্বয়া কুমেকহার চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীবৃন্দই তাদেরকে উদ্ধার করেছেন। তবুও হলুদ সাংবাদিকতার বশবর্তী হয়ে এ সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে দুরভিসন্ধিমূলক বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

 

বাংলাদেশে চিকিৎসক সমাজের ওপর এর আগেও অসংখ্যবার নানাবিধ মিথ্যা অভিযোগে আক্রমণ করা হয়েছে এবং এগুলোর কোনোটিরই সুষ্ঠু বিচার হয়নি কেননা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনো আইনই এ দেশে নেই। বিশেষ করে সম্প্রতি গতকালকের সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে চিকিৎসক সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং যথাযথ চিকিৎসা প্রদানেও চিকিৎসকদের মাঝে দ্বিধা কাজ করছে, যা এ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। এর সাথে হলুদ সাংবাদিকতা দেশের চিকিৎসক সমাজকে সাধারণ জনগণের কাছে খলনায়ক বানাতে তৎপর

 

এ অবস্থায় সরকারের কাছে চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সকল সংগঠনের সম্মিলিত দাবি, যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে কুমেকহাতে গতকালকের সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত এবং এ হামলার ইন্ধনদাতা অপসাংবাদিকতার সাথে জড়িত প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির সম্মুখীন করা হয়। একইসাথে, যেন দেশের চিকিৎসক সমাজকে চিকিৎসা প্রদানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে না হয়, এজন্য সুষ্ঠুভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিধান করে দেয়া হয়। 

আরও পড়ুন