Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫


এবার গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতাল ধ্বংস করল ইসরায়েল

Main Image

বিমান হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজার একমাত্র বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল ‘তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা


এবার বিমান হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজার একমাত্র বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল ‘তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। তুরস্কের সরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিআইকেএ-এর অর্থায়নে নির্মিত হাসপাতালটি ছিল ক্যান্সার রোগীদের জন্য গাজার একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসাকেন্দ্র।

 

প্রায় ৭ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালটি গাজার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হতো, যার মোট অভ্যন্তরীণ আয়তন ছিল ৩৩ হাজার ৪০০ বর্গমিটার। এটি বছরে ৩০ হাজার ক্যান্সার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা রাখত। হাসপাতালটির ২০১১ সালে শুরু হওয়া নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে। 

 

ইতোপূর্বে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর, হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়। এরপর জ্বালানি সংকটে গত ১ নভেম্বর হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যায়। জাতিসংঘ তখন জানিয়েছিল, হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্তত ৭০ জন রোগীর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। পরে জানা যায়, চিকিৎসার অভাবে অন্তত চারজন রোগী মারা গেছেন।

 

 

এরপর ২০২৪ সালের মে মাসে উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালটিকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি সেনারা পুরো হাসপাতাল ধ্বংস করছে। পরে ইসরায়েল বিষয়টি নিশ্চিত করে দাবি করে, হামাস এই স্থাপনাটি ব্যবহার করছিল। তবে ইসরায়েল কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।

 

হাসপাতাল ধ্বংসের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী একটি হাসপাতাল ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা ইসরায়েলের সেই নীতিরই অংশ, যার মাধ্যমে গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বিতাড়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় গাজার হাজার হাজার ক্যান্সার রোগী চরম চিকিৎসা সংকটে পড়বেন। 

আরও পড়ুন