Advertisement
Doctor TV

শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫


দিল্লিতে ঘরে ঘরে জ্বর, উপসর্গ করোনার মতো

Main Image

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গণহারে করোনাভাইরাসের মতো জ্বরসহ উপসর্গ দেখা যাচ্ছে


ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গণহারে করোনাভাইরাসের মতো জ্বরসহ উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। গত সাত দিন ধরে দিল্লির ৫০ শতাংশের বেশি বাড়িতে ভাইরাস জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকেরই উপসর্গ কোভিডের মতো বলেও জানা যাচ্ছে। প্রবীণ ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত। কী থেকে ঘটছে এমন সংক্রমণ, তা খতিয়ে দেখছে দেশটির স্বাস্থ্যবিভাগ। সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা 

 

আবহাওয়া বদলের কারণেই নানা অসুখবিসুখ হানা দিচ্ছে বলে জানান সেখানকার চিকিৎসকরা। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনির্বাণ দলুইয়ের মতে, তাপমাত্রা বাড়ছে। কখনও ঠান্ডা, আবার কখনও গরম। এই বদল এত ঘন ঘন হচ্ছে যে, জীবাণুরাও পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে। দ্রুত বংশবিস্তার করছে।

 

অ্যাডিনোভাইরাস, রাইনো ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। কোভিড ছড়াচ্ছে কি-না, তার নিশ্চিত প্রমাণ এখনো নেই। দিল্লি রাজ্যে কোভিড ছড়ানোর আশঙ্কা এখন তেমন ভাবে নেই। তবে রাইনো ভাইরাসের সংক্রমণ হলে শ্বাসের সমস্যা হয়। পাঁচ বছরের নীচে শিশু ও বয়ষ্করাই বেশি আক্রান্ত হন।

 

জ্বর, সর্দিকাশি, নাক বন্ধ, গলাব্যথা ক্রমাগত হয়ে থাকলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত শ্বাস নেওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বুক ধড়ফড় করা মানে নিউমোনিয়ার লক্ষণ হতে পারে।

অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হলে গলা ও ঘাড়ের চার দিকের গ্ল্যান্ড ফুলে যেতে পারে। সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আর রোটাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে ঘন ঘন ডায়েরিয়া হতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

 

এ ক্ষেত্রে উপসর্গ অনুযায়ীই ওষুধ খাওয়া উচিত বলে মনে করছেন চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার। তার মতে, ওই ধরনের ভাইরাল জ্বরে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না। অ্যান্টিভাইরালও কাজ করে না। তাই উপসর্গ যেমন, তেমনই ওষুধ খান।

 

জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া ভালো, অন্য কোনও ওষুধ খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বর হলে মাস্ক পরা খুব জরুরি। বার বার হাত ধুতে হবে।

 

বিশেষ করে বাইরে থেকে এলে হাত ভাল করে ধুয়ে, স্যানিটাইজ করে তবেই ঘরে ঢুকুন। নাক বন্ধ হলে নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। গলাব্যথা হলে গরম পানিতে স্টিম নিতে পারেন। এতে উপকার হবে।

 

বেশি ভিড় বা জমায়েতে যাবেন না। বিয়েবাড়ি, সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলে চেষ্টা করুন মাস্ক পরার ও স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখার। সম্ভব হলে ভিড় এড়িয়ে চলবেন।

 

শিশুদের খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ নজর দিতে হবে। রাস্তার খাবার ভুলেও খাওয়াবেন না। বাড়িতে কম তেলে রান্না করা খাবার খাওয়াতে হবে। আর নিজে থেকে কোনও ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট খাওয়াবেন না।

 

তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে অপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন