Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫


মেডিকেলে জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধের ঘোষণা ইউমবের

Main Image

চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশনস্ অব বাংলাদেশ (ইউমব)


পাঁচদফা বাস্তবায়নের দাবিতে আজ বুধবার (১২ মার্চ) মেডিকেল-ডেন্টালের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ এবং জরুরি সেবা ছাড়া সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ইনডোর এবং আউটডোর সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশনস্ অব বাংলাদেশ (ইউমব)। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ইউমবের এক যৌথ ঘোষণায় এই কঠোর কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।

 

যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, জনসাধারণকে অপচিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা করে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং চিকিৎসা পেশার মর্যাদা রক্ষায় চিকিৎসক সমাজের পাঁচদফা বাস্তবায়নের দাবিতে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চলমান আমলাতান্ত্রিক কূটকৌশলের প্রতিবাদে বুধবার (১২ মার্চ) এর কর্মসূচি-

 

১.  সারা বাংলাদেশের মেডিকেল ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

 

২. সরকারি বেসরকারি সকল হাসপাতালে ইনডোর ও আউটডোর সেবা এবং বৈকালিক চেম্বার বন্ধ থাকবে। তবে মানবিক বিবেচনায় জরুরি সেবা (ICU, CCU, Casualty, Admission Unit, Labour Ward)  চলমান থাকবে।

 

৩.  সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিকিৎসক মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হলো। ঢাকা ও ঢাকার বাহিরের সকল চিকিৎসক উক্ত চিকিৎসক মহাসমাবেশে যোগ দিবেন।

 

চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি-

 

১. এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। আদালতে চলমান এ সংক্রান্ত আইন ও জনস্বাস্থ্য বিরোধী সব রিট মামলা আগামী ১২ই মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং বাংলাদেশে ‘ডিপ্লোমা চিকিৎসক’ নামে বিভ্রান্তিকর কোনো পদবি প্রচলন করা যাবে না, যার অস্তিত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা বিশ্বের কোথাও নেই।

 

২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক (এমবিবিএস /বিডিএস) ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে না- এ অবস্থান জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

 

৩. আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স কারিকুলাম সংস্কার কমিটি গঠন করে তাদের কোর্স কারিকুলাম পুনর্নির্ধারণ এবং মানহীন সকল ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

 

৪. জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য শূন্যপদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করতে হবে।

 

৫. অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) তৈরি করতে হবে।

আরও পড়ুন