বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন
সমালোচনারমুখে চিকিৎসকদের সম্পর্কে কটুক্তিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতির মাধ্যমে বক্তব্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রের্নিং স্কুল (ম্যাটস), ফরিদপুর এর শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমার দেয়া বক্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “আমি একজন এমবিবিএস চিকিৎসক এবং সব সময় এমবিবিএস চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।” ফরিদপুরের সর্বস্তরের চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী বৃন্দ বর্তমানে স্বাস্থ্যখাতে চলমান অরাজকতা বিষয়ে যে পাঁচ দফা দাবি করেছেন আমি তার সহিত একমত পোষন করছি। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যখাতে চলমান অরাজকতা বন্ধে ফরিদপুরের সর্বস্তরের চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির আবেদনপত্র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছি।”
এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ম্যাটস আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি চিকিৎসকদের সম্পর্কে কটূক্তি করে বক্তব্য দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সিভিল সার্জন বলেন, “তাইলে তাদের (ম্যাটসদের) প্রতি ত আস্থা আছে। মানুষ ত আর বোকা না। সে (ম্যাটস) যদি একবার খারাপ চিকিৎসা দিত তাহলে ত তার কাছে আর আসত না। তাহলে বুঝা যাচ্ছে তোমাদের (চিকিৎসকদের) ডেফিসিয়েন্সি আছে, তোমরা (চিকিৎসকেরা) তোমাদের ডেফিসিয়েন্সিগুলো কারেকশন কর। তারা (ম্যাটস) সময় দেয়, তারা রোগীর সাথে ভালো ব্যবহার করে, সুন্দর ব্যবহার করে, তুমি (চিকিৎসক) ত এই জিনিসগুলো করো না। যার জন্য তোমাদের (চিকিৎসক) কাছে রোগী আসে না, তোমরা রোগী পাও না।”
ম্যাটসদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “তোমরা তোমাদের পড়ালেখা ঠিকমতো করো, তোমরা তোমাদের প্রশিক্ষণ ঠিকমতো নাও, তোমরা তোমাদের নিজের পজিশন তৈরি করে নিতে পারবা। এখন তোমার মনে করো যে মুক্তবাজার অর্থনীতির মতো প্রত্যেকের পজিশন প্রত্যেকের তৈরি করে নিতে হয়।”
তিনি আরো বলেন, “তোমরাও যদি ভালো পড়ালেখা করে, ভালো জ্ঞান নিয়ে এখান থেকে বের হও, ভালো প্রশিক্ষণ নিয়ে বের হও, তাহলে তোমরাও নিজের প্রশিক্ষণ তৈরি করতে পারবা।
ম্যাটসদের সার্কুলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই যে যদি তোমাদের সার্কুলারটা হয়ে যায় আশা করি যে বিপুল পরিমাণে তোমাদের নিয়োগ পাবে। তোমাদের উপজেলা পর্যায়ে যে পোস্টগুলো আছে, সেগুলো ফিলাপ হয়ে গেলে তোমরা তোমাদের যে দক্ষতা সেগুলা কাজে লাগাইতে পারবা, বাস্তবে আমাদের সরকারি ডাক্তারদের সাথে সাথে।”
আরও পড়ুন