Advertisement
Doctor TV

শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫


কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম অধিদফতরে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

Main Image

হস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সরণিতে অবস্থিত সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি) বা কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সামনে মানববন্ধন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি) বা কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম অধিদফতরে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ক্যাডার ও নন-ক্যাডারকে সমান গুরুত্ব এবং পদোন্নতির জন্য সুষ্ঠু কাঠামোর দাবিও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সরণিতে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির সামনে মানববন্ধন করেন তারা। 

 

মনববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যতীত সিএমএসডিকে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম অধিদফতরে রূপান্তর করেছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানি না।

 

এসময় তাদের কাছে ‘ঔষধাগার বান্ধব অধিদফতর চাই’, ‘স্বাস্থ্যখাত ধ্বংস মানি না, মানবো না’, ‘স্বাস্থ্য ক্যাডার-নন ক্যাডার গুরুত্ব পাক’, ‘পদোন্নতির লেডার থাকতে হবে’—প্রভৃতি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

 

এর আগে ২০২২ সালের ২২ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন সিএমএসডির দাফতরিক মর্যাদা অধিদফতরে উন্নীত করে ‘স্বাস্থ্য সরঞ্জাম অধিদফতর’ (ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ সাপ্লাইস— ডিএইচএস) ঘোষণা করে। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব লাবণী ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে সিএমএসডিতে বিদ্যমান ২০২টি পদ থেকে ১৪১টি পদ বিলুপ্তি এবং অধিদফতরের জন্য ১৪টি ক্যাডার পদ স্থায়ীভাবে সৃজন করা হয়। এছাড়া সৃজন করা হয়েছে বছর বছর সংরক্ষণের ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে ৭২টিসহ মোট ৮৬টি নতুন পদ।

 

মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতিকূলে বলে ওই সময়েই আপত্তি জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একাংশ। ওই সময় তারা জানান, দেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দায়িত্ব যেখানে অধিদফতরের, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনাকাটার জন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠান করলে সেখানে কোনো সমন্বয় থাকবে না। তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটা ঠিকাদার নির্ভর হয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। এতে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্যও করেছিলেন বিরোধিতাকারীরা।

আরও পড়ুন