ঢাকা মেডিকেল কলেজ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে জানিয়ে দিচ্ছেন- আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এই হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিল করুন এবং দ্রুত চিকিৎসকদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করুন। অন্যথায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে দেশের মেডিকেল স্টুডেন্ট ও চিকিৎসকগণ কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবেন।
স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো প্রকার অব্যবস্থাপনা বা গাফিলতি দেশ ও জনগণের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে। তাই অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও অরাজকতার কারণে সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার "স্বাস্থ্যসেবা" থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গৃহীত কিছু সিদ্ধান্ত চিকিৎসক সমাজ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারে এবং অপচিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তারা বলেন, দেশের মেডিকেল স্টুডেন্ট, ইন্টার্ন চিকিৎসক, পোস্ট-গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক, বেসরকারি ও সরকারি চিকিৎসকগণ এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্রমূলক শক্তির হাত থাকতে পারে, যারা চায় না যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হোক।
ডিগ্রিবিহীন ব্যক্তিদের দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সাধারণ জনগণকে ভুল চিকিৎসার শিকার করছে, প্রতারণার সম্মুখীন করছে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এর ফলে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের মতো ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন