স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পোশাক/অবয়ব নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) জারি করা নির্দেশনায় পরীক্ষার সময় ছাত্রীদের চেহারা শনাক্তকরণে আলাদা কক্ষে নারী শিক্ষকের সহায়তায় প্রবেশপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষা বোর্ডের সামনে চেহারা শনাক্তকরণের কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মাজহারুল শাহিন স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন পেশাগত পরীক্ষার সময় ছাত্রী শিক্ষার্থীদের চেহারা শনাক্ত করার জন্য তাহাদের আলাদা কক্ষে নারী শিক্ষকের সহায়তায় প্রবেশপত্রের সহিত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে দেখা যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই পরীক্ষা বোর্ডের সামনে এরূপ করা যাবে না। এ ছাড়াও কলেজ ক্যাম্পাস, হাসপাতাল কিংবা ছাত্র/ছাত্রী নিবাসে কোনো শিক্ষার্থীকে তার পোশাক/অবয়ব নিয়ে কটূক্তি করা যাবে না।’
বিষয়টি অতীব জরুরি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে।
এর অনুলিপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে হাসপাতালের পরিচালক, কলেজ উপাধ্যক্ষ, অধ্যাপক/বিভাগীয় প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ সম্প্রতি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চলমান প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় এক ছাত্রীকে বায়োকেমিস্ট্রির ভাইভা বোর্ডে নেকাব খুলে প্রবেশের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ওই শিক্ষার্থী। নিকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আর বোর্ডে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং পরের রোলের শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়। বিরতির পর আবারও তাকে ভাইভা বোর্ডে ডাকা হলে উপস্থিত হন ওই শিক্ষার্থী। তবে নিকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানালে আগের মতোই বোর্ডে ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হন তিনি। পরে অন্যান্য শিক্ষকের বোঝানোর পরিপ্রেক্ষিতে নিকাব খোলেন তিনি। এরপর তার ভাইভা নেওয়া হয়।
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে পেশাগত পরীক্ষার ভাইভায় নারী শিক্ষার্থীর নিকাব খুলতে বাধ্য করার এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর একদিনের মাথায় এমন নোটিশ জারি করলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন