সুদানের অবরুদ্ধ এল ফাশেরে চালু থাকা একমাত্র হাসপাতালে ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে
সুদানের অবরুদ্ধ এল ফাশেরে চালু থাকা একমাত্র হাসপাতালে ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস রোববার (২৬ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপির।
হামলার সময় হাসপাতালটি রোগীতে পরিপূর্ণ ছিল। হামলায় ১৯ জন আহত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আল মালহার নামে আরও একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও হামলার কথা জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর প্রধান।
স্থানীয় কর্মকর্তারা এই বর্বরোচিত হামলার জন্য সুদানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত থাকা আধাসামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করেছেন।
২০২৪ সালের মে মাস থেকে এল ফাশের অবরোধসহ সংঘাতের সময় অসংখ্য নৃশংস ঘটনার জন্য আরএসএফকে দায়ী করা হয়।
চলমান সংঘাতের কারণে শহরটির প্রায় ১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। তারা মাসের পর মাস সহিংসতা ও বঞ্চনা সহ্য করে চলেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া এই সংঘাতের ফলে ২৮ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া জাতিগত আফ্রিকান গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো হাসপাতাল এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সুদানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন