Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের সংস্কার দাবি বিএসিবির

Main Image

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিএসিবির আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের কামাল উদ্দিন গ্যালারিতে আলোচনা সভা


স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের বৈষম্যমূলক ধারার সংস্কার দাবি করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোশিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট (বিএসিবি)। শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিএসিবির আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের কামাল উদ্দিন গ্যালারিতে আলোচনা সভায় এ দাবি করা হয়।

 

বিএসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় আলোচনার মূল বিষয় ছিল ফ্যাসিস্ট রেজিমের শাসনামলে প্রণীত ‘খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪-এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে সংযোজিত বৈষম্য সৃষ্টিকারী অযৌক্তিক, আহণযোগ্য ও বিভ্রান্তিমূলক ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারার অপসারণ/পরিমার্জন/সংশোধন’।

 

ড. মেসবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ম্যারিটাইম ইউনিভার্সিটির অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ড. সোহেল আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।

 

আলোচনায় আরও অংশ নেন বিএসিবির আহ্বায়ক মো. মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান ও অধ্যাপক ফাতেমা খান মজলিশ, সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক ও ড. আব্দুল মোত্তালিব। সভায় সারা দেশের ডায়াগনস্টিক সেক্টরে কর্মরত বায়োকেমিস্টরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্মারকলিপির বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএসিবির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান ও আহ্বায়ক মো. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সিয়াম হোসেন।


আলোচনা সভায় বক্তারা খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪–এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে বৈষম্য সৃষ্টিকারী ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারা সংযোজিত হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে ল্যাবরেটরিতে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ভুল এবং পরবর্তীতে তা থেকে চিকিৎসায় সৃষ্ট ঝুঁকি, ক্ষতি ও সংকট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

 

প্রস্তাবিত খসড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারায় বলা হয়েছে যে, যে কোনো ল্যাবরেটরির রিপোর্ট বিএমডিসির রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ স্বাক্ষর করতে পারবেন না। অর্থাৎ বায়োকেমিস্টরা যে এতদিন ধরে ল্যাবরেটরি টেস্টের মান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে রিপোর্ট সাক্ষর করে আসছেন, তা আর করতে পারবেন না। এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত সকলে তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং পরবর্তী করণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করেন।

 

বিএসিবি আহ্বায়ক কমিটি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বাস্থ্য সচিব (শিক্ষা ও সেবা) এবং স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেছেন। স্মারকলিপিতে এসব দাবির যৌক্তিকতা এবং বিদ্যমান অধ্যাদেশ সংস্কারের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।


সভায় বক্তারা খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪–এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে সংযোজিত বৈষম্য সৃষ্টিকারী অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য ও বিভ্রান্তিমূলক ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারার অপসারণ/পরিমার্জন/সংশোধনের মাধ্যমে বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে কর্মরত বায়োকেমিস্টদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন জরুরি বলে একমত হন। সভায় উপস্থিত সকলে এ বিষয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হন এবং সে লক্ষ্যে শিগগিরই গণমাধ্যমের সহায়তা নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনে যথাযথ সংস্কার না করা হলে সম্ভাব্য ঝুঁকি, ক্ষতি, ও সংকটের বিষয় নীতি নির্ধারক ও জনগণের সামনে উপস্থাপন করবার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন