শনিবার (৩০ নভেম্বর) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে বিশ্ব মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সায়েন্টিফিক সেমিনারে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ডাক্তারদের ২-৩ দিনে আসলে কোনো প্রশিক্ষণ হয় না। ট্রেনিংয়ের সময় আরো বাড়ানো উচিত। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে বিশ্ব মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সায়েন্টিফিক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, সত্যিই খুব খুশি হব যদি ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। আমি চাই আমাদের ডাক্তাররা যতভাবে সম্ভব যেকোনো বিষয়ে যাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে এবং সেই শিক্ষাটা যাতে দেশেই থাকে। এতে এ দেশের মানুষ উপকার পাবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ের সভা বিবরণীতে দেখেছি- যেখানে বলা আছে ২-৩ দিনে আসলে কোনো প্রশিক্ষণ হয় না। কথাটা কিন্তু ঠিক। তিন দিনের জন্য গিয়ে ডাক্তাররা কী প্রশিক্ষণ নেবেন। তিন দিনের প্রোগ্রাম সভা, সিম্পোজিয়াম হতে পারে, তবে আমি মনে করি ট্রেনিংয়ের সময় আরো বাড়ানো উচিত। আমরা যাতে হাতে কলমে বিষয়গুলো শিখতে পারি সেসব বিষয়গুলো ট্রেনিংয়ে যাতে থাকে। দীর্ঘ ট্রেনিংয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। সেটা এক সপ্তাহ হোক দুই সপ্তাহ হোক।
নূরজাহান বেগম বলেন, আমার কাছে চল্লিশের উপরে ডাক্তারের তালিকা আছে যারা বিদেশে গিয়ে দেশে আর আসেননি। তাদেরকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও তারা দেশে আসেননি। দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিক তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু ট্রেনিং করে তারা যাতে দেশে ফিরে আসে। এটাই আমার চাওয়া।
দেশে ডিমেনশিয়ার এবং মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার নিয়েও আমাদের দেশ থেকেই গবেষণা হওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, বলেন, আমাদের পুরো স্বাস্থ্যসেবাটা হয়ে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থাকেন্দ্রিক। রোগ যাতে না হয় সেজন্য যথাযথ প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা আমাদের নেওয়া উচিত। এজন্য আমাদের সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা একান্ত জরুরি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমি খুব আশ্বস্ত এবং গর্বিত যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগেই কোভিড চলাকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের ডাক্তাররা, নার্সরা টেকনোলজিস্টরা চমৎকারভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয়নি। সবাই দেশে চিকিৎসাটা পেয়েছে। এই ধরনের মহাদুর্যোগগুলো যদি তারা সামলে নিতে পারেন আশা করা যায় বাকি দুর্যোগগুলো তারা সামাল দিতে পারবেন।
সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক প্রফেসর ডাক্তার এমএ হান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা প্রমুখ।
আরও পড়ুন