Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


ইউরোপে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রহস্যময় প্যারট ফিভার

Main Image

ইউরোপে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রহস্যময় প্যারট ফিভার


এবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রহস্যময় জ্বর ‘প্যারট ফিভার’। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, সিটাকোসিস নামের এই জ্বরে এরই মধ্যে পাঁচজন মারা গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে,  অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসে প্যারট ফিভারে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গবেষকদের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূলত সংক্রমিত পাখিদের থেকেই এই রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে। গত বছরের শেষদিক থেকেই প্যারট ফিভারের সংক্রমণের প্রকোপ বেড়েছে ইউরোপজুড়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানান, সিটাকোসিসে আক্রান্ত হলে মূলত রোগীর ফুসফুসে সংক্রমণ শুরু হয়। ক্ল্যামিডোফিলা সিট্যাকি নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণেই এই রোগ হয়। ব্যাকটেরিয়াগুলো সাধারণত পাখিদের শরীরে দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে পোষা ও বন্য পাখিও থাকতে পারে। এমনকি পোল্ট্রি থেকেও ছড়াতে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। আক্রান্ত পাখির মধ্যে লক্ষণ না দেখা গেলেও এর দেহ থেকে মানুষের দেহে আসতে পারে ব্যাকটেরিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, মানুষ যখন পাখিদের সংস্পর্শে আসে তখনই ব্যাকটেরিয়াগুলো পাখির শরীর থেকে মানু‌ষের শরীরে সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ পায়। যাঁদের বাড়িতে পোষ্য পাখি রয়েছে, খামারে কাজ করেন এবং বাগানের কর্মচারীদের মধ্যেই এই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।

এই রোগের উপসর্গগুলো হলো–

মাথায় যন্ত্রণা
তীব্র জ্বর
মাঝে মধ্যেই কাঁপুনি দিয়ে ওঠা
অস্থিসন্ধির ব্যথা
পেশিতে যন্ত্রণা
শুকনো কাশি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ক্ল্যামিডোফিলা সিট্যাকি ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার ৫–১৪ দিন পর সিটাকোসিসের উপসর্গগুলো শরীরে দেখা দিতে শুরু করে। সময়মতো ধরা পড়লে বিশেষ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহারে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একজন মানুষের শরীর থেকে অন্য মানুষের শরীরে সরাসরি এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে না। তবে মাঝে মাঝে ছড়াতেও পারে।

আরও পড়ুন