ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির উৎপত্তি নিয়ে এখনো সব ধরনের সম্ভাবনা উন্মুক্ত রয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বজুড়ে প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে।
জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত সার্স-কোভ-২ ভাইরাস কোথা থেকে এসেছে তা জানা ভবিষ্যতে এমন মহামারি ঠেকাতে অত্যন্ত জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের মার্চে ডব্লিউএইচও এটিকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।
ভাইরাসটির উৎস অনুসন্ধানে ডব্লিউএইচও গঠন করে সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ফর দি অরিজিনস অব নোভেল প্যাথোজেনস (এসএজিও) নামের একটি বৈজ্ঞানিক পরামর্শক দল। দলটি যতোটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছে। ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানোম গেব্রিয়েসুস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অনুসন্ধানে কিছু অগ্রগতি হলেও গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য এখনও অনুপস্থিত রয়েছে, যা সব সম্ভাবনার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন, “আমাদের একাধিক অনুরোধ সত্ত্বেও চীন এখনও সংক্রমণের শুরুর সময় আক্রান্তদের কাছ থেকে সংগৃহীত শত শত ভাইরাসের জিনগত তথ্য দেয়নি। উহানের বাজারে বিক্রি হওয়া প্রাণীর তথ্য এবং স্থানীয় গবেষণাগারে হওয়া গবেষণা ও বায়োসেফটি সংক্রান্ত তথ্যও আমরা পাইনি।”
তেদ্রোস আরও জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাও ভাইরাসের উৎস নিয়ে তদন্ত করেছে, এবং ডব্লিউএইচও সেই প্রতিবেদনগুলো দেখতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, “যেহেতু অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা, তাই প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ (জুনোটিক স্পিলওভার) এবং গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া (ল্যাব লিক) উভয় সম্ভাবনাই খোলা রাখা জরুরি।”
তেদ্রোস সবশেষে বলেন, “যেসব দেশের কাছে কোভিড-১৯ উৎপত্তি সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে, তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এই তথ্য প্রকাশ করুন। কারণ, ভবিষ্যতের মহামারির ঝুঁকি ঠেকাতে এটি বিশ্বমানবতার নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
আরও পড়ুন