বিএসএমএমইউয়ে শিশু হৃদরোগ, শিশু হৃদরোগ সার্জারির সর্বশেষ অগ্রগতি ও চিকিৎসাসেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এখন পর্যন্ত সাড়ে তিনশ’র অধিক জন্মগত শিশু হৃদরোগীকে বিনামূল্যে অপারেশন সেবা দেয়া হয়েছে। আরও সাতশ’র অধিক শিশু অপারেশনের জন্য অপেক্ষা রয়েছে। তাদের অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) শিশু হৃদরোগ, শিশু হৃদরোগ সার্জারির সর্বশেষ অগ্রগতি ও চিকিৎসাসেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ এবং শিশু হৃদরোগীদের বিনা অপারেশনে ও অপারেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা কার্যক্রম প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন (আইএনএম) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ তারিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শিশু হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. তারিকুল ইসলাম, শিশু হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাখাওয়াত আলম, কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিটের সহকারী ডা. মোহাম্মদ আতা উল্যাহ বিপ্লব, কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের এ্যানেসথিয়োলজির সহকারী অধ্যাপক ডা. রজত শুভ্রা দাসসহ অনেকে।
ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসএমএমইউয়ে শিশু হৃদরোগীদের সকল ধরনের চিকিৎসাসেবা বিদ্যমান রয়েছে। এই সেবা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। এফ ব্লকে ১০ বেডের আইসিইউসহ ৫০টি বেড নিয়ে শিশু হৃদরোগীদের জন্য সর্বাধুনিক সুযোগসুবিধা সম্বলিত চিকিৎসা ব্যবস্থা শীঘ্রই চালু করা হবে।
ভিসি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের প্রতি অত্যন্ত মানবিক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিও অত্যন্ত আন্তরিক। পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ প্রতিষ্ঠা, উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য অবদান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ চিকিৎসাসেবা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, এখন আর শিশুসহ হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নাই বলে জানান বিএসএমএমইউর ভিসি।
আরও পড়ুন